রোববার (৩০ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাজিয়া সুলতানা এক জরুরি সভায় ডিলারশিপ বাতিল করেন।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ইউনুস আলী মণ্ডল বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, উপজেলার গোপালনগর ইউনিয়নে ১০ টাকা কেজির চালের জন্য ১ হাজার ৪৬৫ জন ব্যক্তির তালিকা চূড়ান্ত করেন চেয়ারম্যান-মেম্বররা।
তাসলিমা তাদের মধ্যে একজন। খাটিয়ামারী বাজার তার চাল বিক্রির পয়েন্ট। সেই পয়েন্টে গত মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) সুবিধাভোগী কার্ডধারীদের মধ্যে ৩০ কেজি করে চাল বিক্রি করা হয়। এরমধ্যে ১৩টি ভুয়া কার্ডধারীর ৩৯০ কেজি চাল তাসলিমা নিজের গুদামে মজুদ রাখেন বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।
শনিবার (২৯ এপ্রিল) সকালে গুদাম থেকে সেই চাল বের করে পাচারের উদ্দেশ্যে ভ্যানযোগে মথুরাপুর বাজারের দিকে রওনা হন তাসলিমা। এসময় তাকে চালসহ আটক করে প্রশাসনকে খবর দেয় স্থানীয় লোকজন।
খবর পেয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই), খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তা ও ট্যাগ অফিসার ঘটনাস্থলে গিয়ে চাল জব্দ করেন। পাশাপাশি তার গুদাম সিলগালা করে দেওয়া হয়।
ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাজিয়া সুলতানা বাংলানিউজকে বলেন, তাসলিমার ডিলারশিপ বাতিল করা হয়েছে। জব্দ করা ৩৯০ কেজি চালের দ্বিগুণ মূল্য সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩০, ২০১৭
এমবিএইচ/আরআর/জেডএস