রোববার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বিলস্ আয়োজিত শ্রম পরিস্থিতি -২০১৬: শ্রমিকের অধিকার রক্ষায় করণীয় শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।
সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহম্মদ বলেন, মে দিবসের মূল প্রতিপাদ্য হচ্ছে, নির্ধারিত আট ঘণ্টা শ্রম ও নিয়োগপত্র নিশ্চিত করা যা পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে।
তিনি বলেন, নিয়োগপত্র না থাকলে কোনো শ্রমিককে কাজে আসতে বলা অপরাধ। এছাড়া ৮ ঘণ্টার বেশি কোনো শ্রমিককে কাজে খাটানো অপরাধ। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আমরা গবেষণায় দেখেছি শ্রমিকদের কাছ থেকে কৌশলে ১২ ঘণ্টা বা তার চেয়েও বেশি সময় নেওয়া হচ্ছে।
গবেষণার তথ্য তুলে ধরে বিলস্’র নির্বাহী পরিচালক বলেন, গ আমরা দেখেছি নিরাপত্তাকর্মীদের তিন শিফট থাকার কথা থাকলেও তাদের দিয়ে দুই শিফট করে কাজ করানো হচ্ছে। এতে ডিউটি হচ্ছে ১২ ঘণ্টা। এটা অনৈতিক।
ঠিকাদার কর্তৃক শ্রমিক নিয়োগের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ঠিকাদার নিয়োগ মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। ঠিকাদার নিয়োগের ক্ষেত্রে কর্মঘণ্টা কখনোই ৮ ঘণ্টা থাকছে না। কর্মঘণ্টা বেশি হওয়ায় শ্রমিক ও দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। একজন শ্রমিক ১৫ বছরে বেশি কাজ করতে পারছেন না। শারীরিকভাবে অক্ষম হয়ে যাচ্ছেন।
তিনি আরো বলেন, প্রতিনিয়ত শ্রমিকদের স্বার্থ ক্ষুণ্ন হচ্ছে। দিনের পর দিন তারা শ্রম-শোষনের শিকার হচ্ছেন।
সেমিনারে ২০১৬ সালে কর্মক্ষেত্রে সংগঠিত দুর্ঘটনার বিষয়ে জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে বিলস্ একটি গবেষণা প্রতিবেদন তৈরি করেছে। প্রতিবেদনে পরিবহন, নিরাপত্তাকর্মী, হোটেল/ রেস্তোরাঁ, রি-রোলিং এবং হাসপাতালে কর্মরত শ্রমিকদের কর্মঘণ্টা ও মজুরি বিষয়ক গবেষণা করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫০ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩০, ২০১৭
আরএটি/জেডএস