ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ ফাল্গুন ১৪৩১, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৫ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

২৬ হাজার বইয়ের কুড়িগ্রাম লাইব্রেরির সদস্য ৯৪ জন!

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১১২ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩০, ২০১৭
২৬ হাজার বইয়ের কুড়িগ্রাম লাইব্রেরির সদস্য ৯৪ জন! কুড়িগ্রাম লাইব্রেরি। ছবি: বাংলানিউজ

কুড়িগ্রাম: কুড়িগ্রাম জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগারটিতে বিষয়ভিত্তিক নির্ধারিত র‌্যাকে বই গোছানো বা ক্যাটালগ অনুসারে তালিকা না থাকায় হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে পাঠকদের।

অগোছালো ও বিক্ষিপ্তভাবে সংরক্ষণ করায় অনেক প্রয়োজনীয় বই থাকলেও তা খুঁজে না পেয়ে ফিরে যেতে হয়।

শনিবার (২৯ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সরেজমিনে গণগ্রন্থাগারে গিয়ে দেখা গেছে, একতলা ভবনটির পাঠকক্ষে ৪টি টেবিলে ৩০/৩৫ জন পাঠক পড়ছেন।

এর মধ্যে পত্রিকার পাঠকই বেশি। বই পড়ছেন মাত্র ৭/৮ জন। নারী পাঠক দেখা যায় একজন কলেজ ছাত্রীকে।

বিষয়ভিত্তিক সাজানো না থাকায় অনেকে বিভিন্ন র‌্যাকে হাতড়ে বেড়াচ্ছেন নির্দিষ্ট বইটি খুঁজে পেতে। চাহিদা অনুসারে বই পেতে হিমশিম খেতে হয় বলেও জানান পাঠকরা।

গ্রন্থাগারের তথ্যমতে, বই রয়েছে ২৬ হাজার ১১২টি। এর মধ্যে মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক বইয়ের সংখ্যা এক হাজারেরও বেশি। কুড়িগ্রাম লাইব্রেরি।  ছবি: বাংলানিউজ

বর্তমানে নিবন্ধিত সদস্য সংখ্যা মাত্র ৯৪ জন!

প্রতিদিন গড়ে শতাধিক পাঠক গ্রন্থাগারে আসেন। তাদের ৬০ শতাংশ স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, ৩০ শতাংশ বেকার বা চাকরির সন্ধানকারী এবং বাকি ১০ শতাংশ অবসরপ্রাপ্ত বয়স্ক পাঠক। তরুণ প্রজন্মের পাঠকদের আগ্রহ বেশি গল্প, উপন্যাস, কবিতা ও সাহিত্যের অন্য শাখার বইয়ে।

তিনটি কম্পিউটারসহ দ্রুতগতির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ থাকলেও আইটি বিশেষজ্ঞ ও কম্পিউটার অপারেটর না থাকায় মাঝে মধ্যেই বিঘ্নের সৃষ্টি হয়।

কুড়িগ্রাম সরকারি বালক বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির ছাত্র শামস বিন নাঈম সোহান বাংলানিউজকে জানায়, নির্ধারিত স্থানে বই সাজানো-গোছানো না থাকায় খুঁজে পাওয়া যায় না।

নারী পাঠক কম হওয়ার বিষয়ে কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজের ইতিহাসে অনার্স ৪র্থ বর্ষের ছাত্রী লাভলী আক্তার বলেন, মেয়েদের মাঝে এখনো গ্রন্থাগারে ঢুকতে সংকোচবোধ রয়েছে। স্কুল-কলেজগুলোতে বই পড়ার সুযোগ-সুবিধার কথা জানিয়ে কাউন্সিলিংয়ের মাধ্যমে মেয়েদের উদ্বুদ্ধ করতে হবে।

কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক মঞ্জুরুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, গ্রন্থাগারটিতে প্রয়োজনীয় ও গবেষণাধর্মী বইয়ের সংকট রয়েছে, যা বাড়ানো দরকার। বিদেশি সাময়িকী-বই, পত্র-পত্রিকা ও অনুবাদধর্মী বইয়ের সংখ্যাও পাঠক টানতে বাড়াতে হবে।

কুড়িগ্রাম জেলা গণগ্রন্থাগারের লাইব্রেরিয়ান কে এম মেহেদী হাসান বাংলানিউজকে বলেন, ক্যাটালগার না থাকায় ও জনবল সংকটে ক্যাটালগভিত্তিক বইয়ের তালিকা করা যায়নি। কাউন্সিলিংয়ের মাধ্যমে পাঠক বাড়ানোসহ পাঠকের চাহিদা অনুসারে বই বাড়াতে ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১০ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩০, ২০১৭
এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।