রোববার (৩০ এপ্রিল) সকাল ১০টায় হিলি সীমান্তের ২৮৫ নং মেইন পিলারের ১১নং সাব পিলারের কাছে সীমান্তের শুন্যরেখায় ভারতের হিলি অভিবাসন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাজির হোসেন শিশু-কিশোরদের বাংলাদেশের হিলি ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন।
এসময় সেখানে ভারতের হিলি বিএসএফ ক্যাম্প কমান্ডার ইন্সপেক্টর নাজির চান্দ ও বিজিবি হিলি আইসিপি ক্যাম্প কমান্ডার সুবেদার মাহবুব আলমসহ উভয় বাহিনীর সৈনিকরা উপস্থিত ছিলেন।
দেশে ফেরত আসা শিশু-কিশোররা হলেন, কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ি উপজেলার চন্দ্রঘোনা গ্রামের হাছেন আলীর ছেলে রাজু ইসলাম (১১), একই এলাকার কুঠিচন্দ্রঘোনা গ্রামের জামাল রহমানের ছেলে জাহিদ হাসান (১৬), চন্দ্রঘোনা গ্রামের হোসেন আলীর ছেলে দুলাল আলী (১০), একই জেলার নাগেশ্বরী উপজেলার খামার হাসনাবাদ গ্রামের হোসেন আলীর ছেলে মুসা আলী (১৩), একই এলাকার বিন্নাবাড়ি গ্রামের মৃত নবিরউদ্দিনের ছেলে তসলিম আলী (১০), বান্দরবান জেলার আলিকদম থানার দক্ষিণ নয়াপাড়া গ্রামের আব্দুস শুকুরের ছেলে নুরুল ইসলাম (১৭)।
ফেরত আসা শিশু-কিশোররা জানান, ভালো কাজের সন্ধানে ভারতের দিল্লিতে রাজমিস্ত্রি ও ইটভাটায় কাজ করতে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ি ও দিনাজপুরের হিলি সীমান্ত এলাকা দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করে। পরে বাসে করে তারা কলকাতা যাওয়ার পথে ভারতের বালুরঘাটে বিএসএফ তাদের আটক করে আদালতে পাঠায়। এদের মধ্যে নুরুল ইসলাম দিল্লিতে রাজমিস্ত্রির কাজ শেষে দেশে ফেরার পথে আটক হন। বয়স কম হওয়ায় তাদের আদালত থেকে ভারতের বালুরঘাট শোভাযোন হোম নামের একটি শিশুশোধনাগারে পাঠানো হয়। সেখানে প্রত্যেকে এক বছর থেকে প্রায় দুই বছর মেয়াদে আটক ছিলেন।
হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আফতাব হোসেন জানান, আইনি প্রক্রিয়া শেষে ভারতের হিলি অভিবাসন পুলিশ ছয় শিশু-কিশোরকে আমাদের কাছে ফেরত দিয়েছেন। যাদের প্রত্যেকের বয়স ১০ থেকে ১৭ বছরের মধ্যে। এরা প্রত্যেকেই ভারতের শিশুশোধনাগারে ১ বছর থেকে প্রায় দু’বছর মেয়াদে আটক ছিলেন। এরা দেশের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে বিনা পাসপোর্টে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেছিল।
কাগজপত্রের প্রক্রিয়া শেষে শিশু-কিশোরদের আমরা তাদের অভিভাবকদের হাতে বুঝিয়ে দিয়েছি তারা নিজ নিজ পরিবারের কাছে ফিরে গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩২ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩০, ২০১৭
আরএ