শিশুটির মা শিরিন আক্তারের এমন অভিযোগের ভিত্তিতে শিশুটির বাবা হযরত আলীকে (৪৫) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আলী ওই গ্রামের ময়েজ উদ্দিনের ছেলে।
রোববার (৩০ এপ্রিল) ভোরে উপজেলার ফৈলজানা ইউনিয়নের ঝবঝবিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
শিশুটির মা শিরিন আক্তার অভিযোগ করে বলেন, ভোরে আমার সুস্থ মেয়েকে ঘরে রেখে ধান সিদ্ধ করার জন্য উঠানে যাই। কিছুক্ষণ পর ঘরে ফিরে দেখি মেয়ে মৃত অবস্থায় পড়ে আছে, তার নাক-মুখ দিয়ে ফেনা বের হচ্ছে। এ সময় আমার স্বামী তার পাশে শুয়ে ছিলেন। আছিয়াকে তার বাবাই হত্যা করেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
এলাকাবাসী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শিরিন আক্তার কৃষক আলীর চতুর্থ স্ত্রী। এর আগে হযরতের প্রথম স্ত্রী মারা যান এবং পরের দুই স্ত্রীকে তালাক দিয়ে দেড় বছর আগে শিরিনকে বিয়ে করেন। চারপক্ষ মিলিয়ে আলীর ঘরে এক ছেলে ও আছিয়াসহ তিন মেয়ে। আগের পক্ষের দু’টি মেয়ে ও শিরিন আক্তারের আবারও মেয়ে হওয়ার পর থেকেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মাঝে মধ্যে ঝগড়া বিবাদ লেগে থাকতো।
চাটমোহর থানার ওসি (তদন্ত) মো. শরিফুল ইসলাম জানান, শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। মরদেহের গায়ে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবে শিশুটির মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে আলীকে ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে পাবনা জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু (ইউডি) মামলা হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলেই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩০ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩০, ২০১৭
আরএ