রোববার (৩০ এপ্রিল) দুই মাস পূর্ণ হওয়ায় নিষেধাজ্ঞা উঠে যাচ্ছে। ফলে সোমবার (০১ মে) ভোর থেকে জেলেরা মেঘনায় ফের মাছ ধরা শুরু করবেন।
দীর্ঘ দুই মাস পর লক্ষ্মীপুর সদর, রায়পুর, রামগতি ও কমলনগর উপজেলার প্রায় ৬০ হাজার জেলে নদীতে মাছ শিকারে যাবেন। এরইমধ্যে তারা নদীতে মাছ শিকারে যাওয়ার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন। নৌকা মেরামত, জাল বোনা ও ছেঁড়া জাল তুলে ঠিকঠাক করেছেন।
রামগতি ও কমলনগরের জেলেদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দুই মাস মাছ ধরা থেকে বিরত থাকার পর সোমবার ভোরে নদীতে মাছ শিকারে যাবেন তারা। বিকল্প কর্মসংস্থান না থাকায় গত দুই মাস ধারদেনা করে সংসার চালিয়েছেন। এখন নদীতে মাছ ধরা পড়লে সামনের দিনগুলো ভালো কাটবে বলে আশা তাদের।
লক্ষ্মীপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এসএম মহিব উল্লাহ জানান, নিষিদ্ধ সময়ে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নদীতে মাছ শিকারের দায়ে গত দুই মাসে ২৩ জন জেলেকে জেল, ৮৮ জনের ৩ লাখ ৭২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়াও ৬৯টি মাছ ধরার নৌকা জব্দ করা হয়। আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়েছে কয়েক লাখ মিটার জাল।
সোমবার থেকে জেলেরা নদীতে মাছ শিকার করতে পারবেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, তবে ৩০ জুন পর্যন্ত জাটকা শিকার করা যাবে না। জাটকা রক্ষায় অভিযান অব্যাহত থাকবে।
লক্ষ্মীপুর জেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, লক্ষ্মীপুরে ৪৫ হাজার ৭৭১ জন নিবন্ধিত জেলে রয়েছেন। নিষিদ্ধ সময়ে সব প্রজাতির মাছ ধরা থেকে বিরত থাকায় এদের মধ্যে থেকে ২৫ হাজার ৯৪৭ জন জেলেকে ৪০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হচ্ছে। জেলেরা চার কিস্তি পাবেন ভিজিএফ’র চাল।
লক্ষ্মীপুর জেলায় প্রায় ৬০ হাজার জেলে রয়েছেন। তবে সরকারিভাবে নিবন্ধিত জেলে হচ্ছেন ৪৫ হাজার ৭৭১ জন। তাদের মধ্য থেকে ২৫ হাজার ৯৪৭ জনকে ভিজিএফ’র চাল দেওয়া হয়েছে। চাল প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত রয়েছেন প্রায় ৩৫ হাজার জেলে। চাল না পেয়ে জেলার রায়পুর ও কমলনগরে বিক্ষোভ করেছেন জেলেরা।
রাজনৈতিক নেতা, জনপ্রতিনিধিসহ সচেতন মহল মনে করেন, ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি ও জাটকা রক্ষায় জেলেদের মাছ ধরা থেকে বিরত রাখতে প্রত্যেক জেলেকে ওই সময় পর্যাপ্ত খাদ্য সহায়তা দেওয়া জরুরি।
বাংলাদেশ সময়: ২০০০ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩০, ২০১৭
জেডএস