ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ ফাল্গুন ১৪৩১, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৫ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

মৌলভীবাজারে মশিউর হত্যা মামলায় এক আসামির যাবজ্জীবন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩০, ২০১৭
মৌলভীবাজারে মশিউর হত্যা মামলায় এক আসামির যাবজ্জীবন

সিলেট: মৌলভীবাজারে আলোচিত মশিউর রহমান মিছলু হত্যা মামলায় শফিক মিয়া (৫০) নামের এক ব্যক্তির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মামলায় ২০১ ধারায় আরও ৩ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ৫শ’ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো ১ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

রোববার (৩০ এপ্রিল) বিকেলে সিলেটের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মকবুল আহসান এ রায় দেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত শফিক মিয়া মৌলভীবাজার সদর উপজেলার গোড়ারাই গ্রামের ইছহাক মিয়ার ছেলে।

মামলার অপর দুই আসামি একই উপজেলার কেশবচর গ্রামের খালিছ মিয়া (৪৮) ও মো. ফারুক মিয়াকে (৫৬) খালাস দেওয়া হয়েছে।

মামলার বরাত দিয়ে আদালত সূত্র জানায়, যুক্তরাজ্য প্রবাসী খালিছ মিয়ার সঙ্গে পাশ্ববর্তী গ্রামের মশিউর রহমান মিছলুর স্ত্রী মায়া বেগমের পরকীয়া সম্পর্ক চলে আসছিলো।

২০১৪ সালের ১৫ ডিসেম্বর বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে খালিছ মিয়ার সহযোগিতায় শফিক মিয়া কেশবচর শ্বশুর বাড়ি থেকে মশিউর রহমান মিছলুকে মোবাইল ফোনে বাড়িতে ডেকে নিয়ে গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। হত্যার পর মিছলুর মরদেহ বাড়ির পরিত্যক্ত গরু ঘরে গর্ত করে পুঁতে রাখেন শফিক মিয়া।

এক পর্যায়ে শফিক মিয়ার দেখানো মতে ওই গর্ত থেকে মশিউর রহমান মিছলুর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের ভাই আহসান হাবিব ছুফী বাদী হয়ে মৌলভীবাজার সদর থানায় একটি হত্যা মামলা (২১ (১২)১৪) দায়ের করেন।

তদন্ত শেষে ২০১৫ সালের ২৬ মে মৌলভীবাজার থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলাম ৩ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে মামলার অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেন। ২০১৬ সালের ৯ আগস্ট মামলার বিচার কার্যক্রম শুরু হয়।

দীর্ঘ শুনানিতে ১৭ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আসামি শফিক মিয়াকে ৩০২/২৪ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে সাজা দেওয়া হয়।

মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে আইনজীবী ছিলেন আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট কিশোর কুমার কর ও আসামিপক্ষে অ্যাডভোকেট আয়শা বেগম।

বাংলাদেশ সময়: ২০১০ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩০, ২০১৭
এনইউ/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।