খুলনা বিভাগীয় গণগ্রন্থাগারের নিয়মিত পাঠক খুলনা মেডিকেল কলেজ থেকে সদ্য এমবিবিএস সম্পন্ন করা ডা. তামিম ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে এসব কথা বলেন।
তামিম বলেন, ‘চাকরির খবর পত্রিকা শনিবার প্রকাশিত হয়।

সরকারি আযম খান কমার্স কলেজের এমবিএসের শিক্ষার্থী ইমদাদুল হক মিলন বলেন, ‘এতো বড় গ্রন্থাগারে পাঠকদের জন্য মাত্র দু’টি শৌচাগার রয়েছে। তার মধ্যে একটিতে ময়লা-আবর্জনার স্তুপ জমে ব্যবহারের অনুপযোগী হওয়ায় বন্ধ রাখা হয়েছে। যে টয়লেটটি খোলা থাকে তা নোংরা, অপরিষ্কার, স্যাঁতসেঁতে ও অস্বাস্থ্যকর। কখনও পরিষ্কার করা হয় না। কোনো সাবান থাকে না। নারী বা শিশুদের আলাদা টয়লেট নেই’।
বেশ কয়েকজন পাঠক আক্ষেপ নিয়ে বলেন, ‘আমরা বছরের পর বছর ধরে নিয়মিত এই গ্রন্থাগারে পড়াশোনা করছি। টয়লেটের সমস্যাটি দীর্ঘদিনের। বহুবার দলবেঁধে কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানালেও তারা কোনো প্রতিকার করছে না’।
রোববার (৩০ এপ্রিল) সরেজমিনে খুলনা মহানগরীর বয়রা জিপিও এলাকার অর্ধ শতাধিক বছরের পুরনো এ গণগ্রন্থাগারে গিয়ে দেখা গেছে, ভবনের বেশ কিছু স্থানে ভেঙে রড বের হয়ে গেছে। ছাদের ঢালাই ধসে মেঝেতে পড়ে আছে। টয়লেটের দেওয়ালেও ফাটল।
একটি মাত্র শৌচাগার হওয়ায় পাঠকদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। দীর্ঘ লাইন দিয়ে অতিরিক্ত সময় ব্যয় করে বাধ্য হয়ে দুর্গন্ধযুক্ত পরিবেশেই তাদের টয়লেট ব্যবহার করতে হচ্ছে। প্রায় আড়াই একর জমিতে প্রতিষ্ঠিত বৃহৎ এ গ্রন্থাগারটির সামনে ও পেছনের আঙিনায় অনেকেই প্রেমের জায়গা হিসেবে বেছে নিয়েছেন।
গ্রন্থাগারের পাঠকক্ষ সহকারী অখিল দেবনাথ বাংলানিউজকে বলেন, ‘অবকাঠামো ও জনবল সংকটসহ নানা সমস্যা রয়েছে গ্রন্থাগারটিতে। টয়লেটে সাবান দিলে তা চুরি হয়ে যায়। এমনকি বৈদ্যুতিক বাল্বও চুরি হয়েছে টয়লেট থেকে। আইপিএসের ব্যাটারি নষ্ট হওয়ায় পাঠকদের বিদ্যুৎ না থাকলে কিছুটা ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। ইন্টারনেট কর্নার মোবাইল কোম্পানি রবি পরিচালনা করে। এ বিষয়ে আমরা জানি না’।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩১ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩০, ২০১৭
এমআরএম/এএসআর