রোববার (৩০ এপ্রিল) বেলা ১২টার দিকে তাকে কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। জাসিয়া আক্তার রাজদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী।
জানা যায়, জাসিয়া ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. সরোয়ার হোসেন কাছে ব্যাচে প্রাইভেট পড়ত। আর্থিক সমস্যার কারণে বাবা আতিকুর রহমান জাসিয়াকে প্রাইভেট পড়া বন্ধ করে দেন। ক্ষিপ্ত হয়ে শনিবার (২৯ এপ্রিল) বিকেলে প্রধান শিক্ষক জাসিয়াকে শ্রেণি কক্ষে ডেকে নিয়ে বেত্রাঘাত করেন। এতে জাসিয়া অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
এদিকে, মারধরের ঘটনার প্রতিবাদ করায় প্রধান শিক্ষক মো. সরোয়ার হোসেনের কাছে জাসিয়ার বাবা আতিকুর রহমান লাঞ্ছিত হন। এ বিষয়ে সকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
জাসিয়ার মা আফরোজা বেগম বাংলানিউজকে বলেন, প্রাইভেট পড়া বন্ধ করে দেওয়ায় আমার মেয়েকে শিক্ষক মারধর করেছেন। এর প্রতিবাদ করায় আমার স্বামীকে মারধর করা হয়েছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক মো. সরোয়ার হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, এ ঘটনা সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমাকে ফাঁসানোর জন্য এমন ঘটনা সাজানো হচ্ছে।
ইউএনও মো. শরীফুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, ওই ছাত্রীর শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিতে আমরা হাসপাতালে গিয়েছি। তার ওপরে যে নির্যাতন করা হয়েছে তা অমানবিক। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩০ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩০, ২০১৭
এনটি/আরএ