শনিবার (২৯ এপ্রিল) রাত ১১টার দিকে ৬ লাখ টাকা দেনমোহর ধার্য করে স্থানীয় মুরব্বিদের উপস্থিতিতে ঝর্না ও মামুনের বিয়ের কাজ সম্পন্ন হয়। তাদের বিয়ের কাজটি সম্পন্ন করান স্থানীয় ইউনিয়নের কাজী মোহাম্মদ বাছের।
শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার দিনারা গ্রামের গনি সরকারের ছেলে মামুন সরকারের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে ৫ দিন ধরে অনশন করেছিলেন ঝর্না।
নড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকরাম আলী মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, শনিবার রাতে স্থানীয়দের উপস্থিতিতে ঝর্না ও মামুনের বিয়ের কাজ সম্পন্ন হয়। এখন ঝর্না মামুনের বাড়িতে আছে।
স্থানীয় ইউপি মেম্বার লোকমান হোসেন ঢালী বলেন, ৬ লাখ টাকা দেনমোহর ধার্য করে ইউনিয়ন পরিষদের কাজী মোহাম্মদ বাছের বিয়ে রেজিস্ট্রি করেন।
ঝর্নার ভাই মইনুল হক ফোনে বলেন, স্থানীয়দের সহায়তায় ঝর্না ও মামুনের বিয়ের কাজ শেষ হয়েছে। ঝর্না তার শ্বশুরবাড়িতেই রয়েছে। কোনো সমস্যা নাই।
এদিকে এভাবে ছেলের বিয়ে মেনে নিতে পারছেন না মামুনের পরিবার।
মামুনের মা মনি বেগম বলেন, একটা মেয়ে হুট করে বাড়িতে এসে বলবে বিয়ে করতে হবে আর সমাজের লোকজন মিলে বিয়ে দিয়ে দিবে এটা মেনে নেওয়া যায় না।
মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) থেকে দিনারা গ্রামের গনি সরকারের ছেলে মামুন সরকারের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে একটানা অনশন করে আসছিলেন ঝর্না। বাড়িতে প্রেমিকার উপস্থিতি টের পেয়ে গা ঢাকা দিয়েছিলেন মামুন। তখন মামুনের পরিবার দাবি করছিলেন মামুনকে তারা খুঁজে পাচ্ছেন না।
রোববার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে নড়িয়া উপজেলার দিনারা গ্রামের গনি সরকারের ছেলে মামুন সরকারের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় ঝর্না বিয়ের দাবিতে অনশন করছেন।
তখন ঝর্না জানান, প্রায় ৫ বছর ধরে ঝর্না ও মামুনের প্রেম চলছে। ১ মাস আগে মামুন ঝর্নাকে নিয়ে তার এক আত্মীয়র বাড়িতে রাত কাটিয়েছেন। তখন মামুন ঝর্নাকে বিয়ের আশ্বাস দেন। এ কারণেই ঝর্না বিয়ের দাবিতে মামুনের বাড়িতে এসে অবস্থান নিয়েছেন।
ঝর্না আরও জানান, মোবাইল ফোনে মামুনের সঙ্গে পরিচয় হয় তার। এর পর থেকে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ৫ বছরের মধ্যে ওই একবারই তাদের দেখা হয়েছিল।
তখন মামুনের মা মনি বেগম বলছিলেন, একটি পক্ষ উদ্দেশ্যমূলক ভাবে এই মেয়েকে দিয়ে তাদের হয়রানি করছে।
ঝর্না আক্তার চাঁদপুর জেলার মতলব (উত্তর) থানার দক্ষিণ সরদার কান্দি গ্রামের জামাল উদ্দিন ছৈয়ালের মেয়ে।
বাংলাদেশ সময়: ২১০১ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩০, ২০১৭
আরএ