ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ ফাল্গুন ১৪৩১, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৫ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

২ মাস পর মাছ শিকারে ভোলার জেলেরা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩০, ২০১৭
২ মাস পর মাছ শিকারে ভোলার জেলেরা ২ মাস পর মাছ শিকারে ভোলার জেলেরা

ভোলা: রোববার (৩০ এপ্রিল) রাত ১২টায় শেষ হচ্ছে ইলিশ ধরার নিষেধাজ্ঞা। তাই মধ্য রাতেই ইলিশ শিকারে নেমে পড়বেন জেলেরা। মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে জাল নৌকা নিয়ে প্রস্তুত জেলেরা ।

জেলে পুনর্বাসনের চাল সবার ভাগ্যে না জুটলেও দুই মাস পর ইলিশ শিকারে নামবেন এ জন্য খুশির ঝিলিক তাদের চোখ-মুখে। ইলিশ আহরণের পর সেই মাছ বিক্রির টাকায় মহাজনের দেনা আর এনজিও ঋণ পরিশোধ করবেন এমন আশা তাদের।

সে কারণেই জেলে পাড়ায় এবং মৎস্য ঘাটে উৎসবের আমেজ।

ইলিশ ধরার প্রস্তুতি এবং বেকার জেলেদের এমন কর্মব্যস্ততা ভোলার মেঘনা পাড়ে। জেলার তিন শতাধিক মৎস্য ঘাটেই যেন একই চিত্র।

সুতোর জালে ঋণের দায়ে আটকে পড়া জেলেদের যেন সব দুশ্চিন্তা দূর হয়ে গেছে। তবে জেলেরা আতঙ্ক ভরা মৌসুমে পর্যাপ্ত ইলিশ না পেলে তাদের এ স্বপ্ন অপূর্ণই থেকে যাবে।

জেলা মৎস্য অফিসের দেয়া তথ্যে জানা গেছে, সরকারি হিসেবে জেলার সাত উপজেলায় মোট নিবন্ধিত জেলে রয়েছে এক লাখ ২৫ হাজার। এর মধ্যে মার্চ-এপ্রিল দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা সময়ে পুনর্বাসনের চাল বরাদ্দ হয়েছে ৫২ হাজার জেলের জন্য। তবে বরাদ্দ না থাকায় বাকী ৭৫ হাজার জেলের ভাগ্যে চাল জোটেনি।
 
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা রেজাউল করিম বাংলানিউজকে বলেন, ৫২ হাজার ১৫০ জেলের জন্য চাল বরাদ্দ হয়েছে। প্রত্যেক জেলের জন্য ১৬০ কেজি করে চাল দেয়া হবে এবং এ চাল বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

এদিকে, ভোলা সদরের ইলিশা, রাজাপুর, নাছির মাঝি, ভোলার খাল ও তুলাতলী ঘাটে গিয়ে দেখা গেছে, ইলিশ শিকারের জন্য জেলেদের প্রস্তুতি। কেউ নৌকা প্রস্তুত করছেন, কেউ জাল বুনছেন, কেউবা ডিজেলসহ মাছ ধরার অন্যান্য উপকরণ সংগ্রহ করছেন।
 
এদের মধ্যে সিরাজ মাঝি, ছিদ্দিক মাঝি ও রহিম বাংলানিউজকে বলেন, দুই মাস নিষেধাজ্ঞা ছিল তাই মাছ শিকার করতে পারিনি। পরিবার-পরিজন নিয়ে বেকার সময় পার করেছি, এখন নিষেধাজ্ঞা শেষ তাই নদীতে নামবো।

বাংলাদেশ সময়: ২১৩৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩০, ২০১৭
আরবি/আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।