কিন্তু কোল্ড স্টোরেজগুলোতে ১১০ থেকে ১২০ কেজি ওজনের মতো ভার বহন করাতে বাধ্য করা হয় শ্রমিকদের। এ কারণে গত বছরের মার্চে রাজশাহীতে তৌহিদুল ইসলাম নামে একজন শ্রমিক মারা যাওয়ার কথা উল্লেখ করে হাইকোর্টে শ্রমিকদের পক্ষে একটি রিটও করা হয়।
২০০৬ সালের শ্রম আইনের ৭৪ ধারায় (অতিরিক্ত ওজন) বলা হয়েছে, ‘কোন প্রতিষ্ঠানে কোন শ্রমিককে, তার ক্ষতি হইতে পারে এমন কোন ভারী জিনিস উত্তোলন, বহন অথবা নাড়াচাড়া করিতে দেওয়া যাইবে না৷’
পরবর্তীতে ২০১৫ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর শ্রম মন্ত্রণালয়ের করা বিধিমালার ৬৩ বিধিতে (অতিরিক্ত ওজন) বলা হয়েছে, ‘(১) কোন প্রতিষ্ঠানের কোন পুরুষ বা মহিলাকে নিম্নবর্ণিত ওজনের অতিরিক্ত ওজনবিশিষ্ট কোন দ্রব্য, যন্ত্রপাতি, হাতিয়ার বা সরঞ্জাম কাহারো সাহায্য ব্যতীত হাতে বা মাথায় করিয়া উত্তোলন, বহন বা অপসারণের উদ্দেশ্যে নিয়োগ করা যাইবে না, যথা: (ক) প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ .... ৫০ কিলোগ্রাম; এবং (খ) প্রাপ্তবয়স্ক মহিলা ..............৩০ কিলোগ্রাম। ’
চলতি বছরের শুরুতে এ নিয়ে হাইকোর্টে রিট করেন রাজশাহীর পবা উপজেলা লোড আনলোড কুলি শ্রমিক ইউনিয়নের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন মোল্লা। আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী ব্যারিস্টার সুহান খান ও জহিরুল ইসলাম।
ওই সময় সুহান খান জানান, শ্রম আইনের ৭৪ ধারায় রয়েছে -নির্ধারিত ওজনের বাইরে শ্রমিকদের দিয়ে ভার বহন করা যাবে না। আর বিধিতে রয়েছে প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষের ৫০ কেজি এবং নারী শ্রমিকের ৩০ কেজি ওজনের বেশি ভার বহন করা যাবে না।
কিন্তু কোল্ড স্টোরেজগুলোতে ১১০ থেকে ১২০ কেজি ওজনের মতো ভার বহন করাতে বাধ্য করা হয়। এ কারণে গত বছরের মার্চে রাজশাহীতে তৌহিদুল ইসলাম নামে একজন শ্রমিক মারা যান।
গত ৯ জানুয়ারি হিমাগারের ৫০ কেজি ওজনের আলুর বস্তা বহনে শ্রমিকদের বাধ্য করার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করে শ্রমিকদের শরীর ও জীবনের নিরাপত্তা বিধান নিশ্চিতে শ্রম মন্ত্রণালয়, শ্রম পরিদপ্তর, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করেন রাজশাহীর পবা উপজেলা লোড আনলোড কুলি শ্রমিক ইউনিয়ন।
কিন্তু কোনো প্রতিকার না পেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন শ্রমিকরা। যার বিচারিক কাজ এখন চলছে।
** বিস্তারিত দেখতে ক্লিক করুন
বাংলাদেশ সময়: ০১৫০ ঘণ্টা, মে ০১, ২০১৭
ইএস/জেডএম