ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ ফাল্গুন ১৪৩১, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৫ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

অতিরিক্ত কাজে শ্রমিক বাধ্য

মাজেদুল নয়ন, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০২ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩০, ২০১৭
অতিরিক্ত কাজে শ্রমিক বাধ্য পোশাক কারখানার শ্রমিক (ফাইল ফটো)

ঢাকা: মজুরি কম হওয়ায়  জীবন-ধারণের খরচ তুলতেই হিমশিম খেতে হয় শ্রমিকদের। তাই বাধ্য হয় ৮ ঘণ্টার বেশী কাজ করতে।  যদিও আর্ন্তজাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) কনভেনশন অনুযায়ী একজন শ্রমিককে দিয়ে আট ঘণ্টার বেশি কাজ করানো যায় না।

বাংলাদেশে তৈরি পোশাক কারখানাগুলোতে রয়েছে উল্লেখযোগ্য শ্রমিক। এসব কারখানায় ৬ হাজার টাকা বেতনের শ্রমিকও দেখা যায়।

অথচ এই সময়ে একজন শ্রমিকের পক্ষে ৬ হাজার, ৮ হাজার বা ১০ হাজার টাকায় জীবনযাপন কঠিন হয়ে পড়ে। ফলে বাধ্য হয়েই তাকে ওভারটাইমে যেত হচ্ছে।

আইএলও'র ৩৩টি কনভেনশনের স্বাক্ষর করেছে বাংলাদেশ। তবে এসব ধারা মানার ক্ষেত্রে কার্যকর পদক্ষেপ দেখা যায় না।

সংশোধিত শ্রম আইন-২০১৩'তেও দুর্বলতা রয়েছে। এখানে ট্রেড ইউনিয়নের অধিকার প্রসঙ্গটিকে অস্পষ্ট রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ আছে। আইনটি আইএলও কনভেনশন অনুযায়ী আন্তর্জাতিক শ্রম আইনের ৮৭ ও ৯৮ ধারার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। এছাড়াও ট্রেড ইউনিয়ন, গ্রাচ্যুইটি, শ্রমিকের চাকরির নিরাপত্তার বিষয়গুলো স্পষ্ট নয়।

বিলসের (বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজ) নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহম্মদ বাংলানিউজকে বলেন, শ্রমিক দিবসে বারবার সামনে আসে শ্রমিকের কর্মঘণ্টার বিষয়টি। বাংলাদেশে শ্রমিকরা যে পারিশ্রমিক পান, তাতে আট ঘণ্টা কাজ করে জীবন ধারণ সম্ভব হয় না। আইএলও’র যে কনভেনশনগুলোতে বাংলাদেশ স্বাক্ষর করেছে,  সেগুলোতে শ্রম ঘণ্টা ৮ এর কথা বলা হয়েছে। তবে তার বাস্তবায়ন খুবই দুর্বল।

তিনি বলেন, এর মধ্যে শ্রমিকদের সঙ্গে বড় ধরনের প্রতারণা হচ্ছে ঠিকাভিত্তিক কাজ। এ ক্ষেত্রে কর্মঘণ্টার কোন হিসেব থাকে না।

ব্যবসায়ী নীতিতে সমাজ পরিচালিত হওয়ায় শ্রম আইন শ্রমিকদের পক্ষে খুব বেশি কাজ করে না বলেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ০২০০ ঘণ্টা, মে ০১, ২০১৭
এমএন/জেডএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।