রোববার (৩০ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে উত্তর-পশ্চিম দিকে থেকে শুরু হয় কালবৈশাখী ঝড় প্রায় ৩০ মিনিট পর্যন্ত স্থায়ী ছিলো। তবে থেকে থেমে বজ্রপাত ও বৃষ্টি রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত চলে।
ওই ঝড়ের পর থেকেই নাটোর শহরসহ জেলা সব স্থানেই বিদ্যুৎসংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। জেলার মহাসড়ক ও গ্রামীণ সড়কের ওপর গাছ-পালা ভেঙে পড়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা অনেকটাই বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। অনেক স্থানে টেলিফোন ও বিদ্যুতের খুঁটি উপরে পড়ে আছে। এতে মানুষের ভোগান্তি বেড়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ রফিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, ঝড়ের কারণে জেলার বিভিন্নস্থানে বোরো ধান, ভুট্টাসহ বিভিন্ন ফসলের ক্ষতি হয়েছে। তবে, কি পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা সরজমিনে না গেলে বলা যাবে না। জেলার সব কৃষি কর্মকর্তাদের সোমবার (০১ মে) সকালে খোঁজ-খবর নিয়ে ক্ষয়-ক্ষতির তালিকা প্রস্তুতের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর জেনারেল ম্যানেজার বেলাল উদ্দিন বাংলানিউজকে জানান, ঝড়ে জেলার সব স্থানেই বিদ্যুৎসংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। তাদের লোকজন মাঠে কাজ করছেন। দুই একটি স্থানে সংযোগ দেওয়া গেলেও জেলার অধিকাংশ এলাকায় সংযোগ দিতে সোমবার দুপুর পর্যন্ত সময় লাগতে পারে বলে জানান তিনি।
নাটোরের জেলা প্রশাসক শাহিনা খাতুন বাংলানিউজকে জানান, ঝড়ের ক্ষয়-ক্ষতির হিসাব জানানোর জন্য সব ইউএনও, কৃষি কর্মকর্তাসহ সব বিভাগকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সব বিভাগের লোকজন রাতেই মাঠে কাজ করছেন। সব স্থানেই জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে খোঁজ-খবর নেওয়া হচ্ছে।
রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আশরাফুল আলম মোবাইল ফোনে বাংলানিউজকে জানান, রোববার সন্ধ্যার ঝড়ের বাতাসের গতিবেগ ছিলো ঘণ্টায় ৯০ থেকে ৯৫ কিলোমিটার।
বাংলাদেশ সময়: ০৫৩৫ ঘণ্টা, মে ০১, ২০১৭
ওএইচ/