শ্রমিক সংগঠনগুলোর সূত্রে জানা যায়, বেশিরভাগ সংগঠনই সারা বছর কোনো কাজ করে না। শ্রমিকদের অধিকার নিয়ে কথা বলে না।
শুধু সাধারণ শ্রমিকরাই নয়, শ্রমদিবসের মূল চেতনা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল নন অনেক শ্রমিক নেতা—এমন কথাও জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। তারা পহেলা মে মানেই তারা ধরে নেন র্যালি ও সমাবেশ। কিন্তু এই দিনে ভবিষ্যতে শ্রমিকদের আরো কিভাবে সংগঠিত করে শ্রমিক আন্দোলনকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায় সে বিষয়ে আলোচনা করা উচিত। র্যালী, সমাবেশ করে, আনন্দ করে দিন কাটিয়ে নেয়ার মতো সময় এটি নয়—একথা কে তাদের বোঝাবে!
এসব বিষয়ে টেক্সটাইল গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশন এর সাধারন সম্পাদক তপন সাহা বাংলানিউজকে বলেন, ১৮৮৬ সালের এই দিনে শিকাগোতে শ্রমিকরা প্রাণ দিয়েছিলো ৮ ঘন্টা কর্মঘন্টা ঘোষণার দাবিতে। কিন্ত আমাদের দেশে এখনো অনেক জায়গায় আট ঘন্টার বেশি কাজ করতে হয় শ্রমিকদের। শ্রমদিবসে এসব বিষয়ে কাজ করার জায়গায় বেশিরভাগ শ্রমিক, নেতা ও সংগঠন শুধু র্যালি ও সমাবেশ করে। আনন্দ উৎসব করে। এতে করে মে দিবসের মূল চেতনা থেকে সরে যাচ্ছেন অনেকেই।
তবে মে দিবসে র্যালি ও সমাবেশের থেকে শ্রমিক সংগঠনগুলোর খুব বেশি করার কোনো সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জাতীয় গার্মেন্টস কর্মচারী লীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম রনি।
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে মে দিবসের র্যালি ও সমাবেশ করা হবে। আসলে এই দিনটিতে এর থেকে বেশি করার সুযোগও তেমন নেই।
শ্রমিক সংগঠনগুলোর সূত্রে জানা যায়, দেশের নিবন্ধিত বেশ কিছু শ্রমিক সংগঠনকে কখনোই শ্রমিকদের অধিকার নিয়ে মাঠে থাকতে দেখা যায় না। মে দিবসের র্যালিকে সামনে রেখে নানা ধরনের আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ পাওয়া যায় এসব প্রায়-নিষ্ক্রিয় সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে।
বাংলাদেশ সময়: ০৬২৮ ঘণ্টা, মে ০১, ২০১৭
ইউএম/জেএম