তাদের চেয়ে অনিবন্ধিত সদস্য বা পাঠকের সংখ্যাই বেশি।
৪৩ জন নিবন্ধিত সদস্যও নিয়মিত আসছেন না।
গণগ্রন্থাগার সূত্রে জানা গেছে, গত জানুয়ারিতেও এখানে বিভিন্ন ধরনের ২ হাজার ৬শ’ বই সংগ্রহ করা হয়েছে। সব মিলিয়ে বর্তমানে বিভাগীয় গণগ্রন্থাগারটির বইয়ের সংখ্যা ৬৫ হাজার। এর মধ্যে শিশুদের বই আছে ৭ হাজার। পাশাপাশি বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা ছাড়াও কম্পিউটার, ইংরেজি, মুক্তিযুদ্ধ, অর্থনীতি, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, ইতিহাসসহ বিভিন্ন বিষয়ের ওপর বই রয়েছে।
এসব বই পড়তে প্রতিদিন গড়ে ৫ থেকে ৬শ’ জন পাঠক আসেন লাইব্রেরিটিতে। যার সংখ্যা মাসে দাঁড়ায় ১০ থেকে ১৫ হাজার জনে। তবে নিয়মিত আসা পাঠকদের অধিকাংশই নিবন্ধিত নন।
রোববার (৩০ এপ্রিল) বেলা ১১টায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, পর্যাপ্ত ব্যবস্থার মধ্যেও শিশুদের পাঠকক্ষে ৫ জন শিশু শিক্ষার্থী বই পড়ছে। সাধারণ পাঠকক্ষে রয়েছেন ১৫ জন শিক্ষাথী। তাদের মধ্যে কেউবা জুটি বেধে কথা বলছেন, আবার কেউ বই সামনে রেখে হাতে মোবাইল চালাচ্ছেন। ভবনের চতুর্থতলায় বিজ্ঞান ও রেফারেন্স পাঠকক্ষ। যেখানে মূলত পাঠকরা আসেন পত্রিকা পড়তে। সেখানেও রয়েছেন মাত্র ৮ জন পাঠক।
তবে এসব পাঠকক্ষের প্রতিটিতেই লাইব্রেরির একজন করে কর্মচারী দায়িত্ব পালন করছেন।
বই পড়তে আসা শিক্ষার্থীরা জানান, এখানে প্রায় সব ধরনের বইই রয়েছে। পাঠকদেরও বেশিরভাগই শিক্ষার্থী। তবে এখানে বসে বই পড়া যায় বলে কেউ বাসায় নিতে আগ্রহী নন। কারণ, ফেরত দেওয়া, হারানো বা নষ্ট করা যাবে না- এ ধরনের দায়বদ্ধতা থেকে যায়।
বিভাগীয় সরকারি গণগ্রন্থাগারের প্রিন্সিপাল লাইব্রেরিয়ান কাম উপ-পরিচালক মিছবাহ্ উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, ‘এখানে যে ধরনের জনবলের প্রয়োজন, তার অনেকটাই নেই। সবচেয়ে বেশি প্রয়োজনীয় লাইব্রেরিয়ান পদটি শূন্য রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে। মোট ১৭টি পদের মধ্যে ৫টিই শূন্য। তারপরও পাঠক বাড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে’।
‘বরিশালের প্রায় সকল স্কুল-কলেজেই লাইব্রেরিতে শিক্ষার্থীদের আসার জন্য চিঠি দিয়েছি। তবে শিক্ষার্র্থীরা এলেও নিয়মিত সদস্য হতে চান না কেউ’।
নিয়মিত সদস্য হলে ফেরতযোগ্য ৫শ’ টাকা জামানত দিয়ে কার্ড করতে হয়। তাহলে বাসায় যেমন বই নেওয়া যায়, তেমনি আবার ফেরত দিতে হয়। হারিয়ে গেলে জামানত থেকে কেটে নেওয়া হয়। আর এতেই কারো আগ্রহ নেই বলেও জানান তিনি।
মিছবাহ্ উদ্দিন বলেন, ‘লাইব্রেরিতে পাঠের বিষয়ে শিক্ষার্থীদের মনোভাব তৈরি করে দেওয়া উচিত শিক্ষকদের। এতো বড় লাইব্রেরিতে এতো বই বিনামূল্যে পড়ার সুযোগ রয়েছে। এগুলোর যথাযথ ব্যবহার পাঠকের পাঠের মধ্য দিয়েই হবে’।
বাংলাদেশ সময়: ১০২১ ঘণ্টা, মে ০১, ২০১৭
এমএস/এএসআর