ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ ফাল্গুন ১৪৩১, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৫ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

এ ঘাম দেশ আর বিশ্ব গড়ার

ফটো ও স্টোরি: দীপু মালাকার, স্টাফ ফটো করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬২৫ ঘণ্টা, মে ১, ২০১৭
এ ঘাম দেশ আর বিশ্ব গড়ার ছবি: দীপু মালাকার

কেরানীগঞ্জ, ঢাকা: শীত হোক, গরম হোক। সারা বছর সারাদিনই কাটে কারখানার তপ্ত চুল্লির পাশে। আগুনে পুড়িয়ে পিতলের এক একটি তৈজসপত্র তৈরি হয় তার হাতে। নাম মোখলেসুর রহমান মুন্সী। কৈশোরে শেখা এ কাজ। তারপর আছেন ৩০ বছর ধরে। ঘেমে-নেয়ে দিন শেষ হয় তার। স্বভাবতই কাজের মাঝে ঘাম মোছার খেয়াল বা সময়টুকুও নেই মোখলেসের।

ছবি: দীপু মালাকার
সৈয়দপুরে পরিবার রেখে ঢাকায় একা থেকে কাজ করেন। পিতলের তৈজসপত্র তৈরি করে সপ্তাহে ২৫০০-৩০০০ টাকা আয় হয় তার।

মাস শেষে সর্বসাকুল্যে হয় ১০ হাজার টাকা।  ছবি: দীপু মালাকার
কারখানার  দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের বুড়িগঙ্গা নদীর তীর সংলগ্ন এলাকা তাওয়াপট্টি। এখানে পিতল এবং অ্যালুমিনিয়ামের তৈজসপত্র তৈরির কারখানায় শরীরের ঘাম ঝরানো কাজ করেন মোখলেসের মতো অনেক শ্রমিক।  
ছবি: দীপু মালাকার
এই শ্রমিকদের কর্মঘণ্টা, মজুরি বা প্রাপ্যটাই কী; এ সম্পর্কে কিছুই জানেন না তারা।  
 
ছবি: দীপু মালাকার
অথচ তাদের মতো শ্রমিকদের কর্মঘণ্টা নির্ধারণে এবং প্রাপ্য অধিকার আদায়েই এক রক্তক্ষয়ী আন্দোলনের পর ‘মে দিবস’ পালন শুরু হয়।  
ছবি: দীপু মালাকার
১৮৮৬ সালে আমেরিকার শিকাগো শহরের হে মার্কেটের সেই আন্দোলনে নিহতদের আত্মত্যাগকে স্মরণ করে দিবসটি পালন হয়ে আসছে।
 
ছবি: দীপু মালাকার
দাবি আদায়ের জন্য সেদিন শ্রমিকদের বুকের তাজা রক্তে রঞ্জিত হয়েছিল শিকাগোর রাজপথ।  ছবি: দীপু মালাকার
শ্রমিকদের সেই আত্মত্যাগ ও রক্তস্নাত ঘটনার মধ্যদিয়ে দৈনিক কাজের সময় ৮ ঘণ্টা প্রতিষ্ঠার সংগ্রামের ঐতিহাসিক বিজয় হয়। শ্রমিকদের আত্মত্যাগের বিনিময়েই সেদিন মালিকরা স্বীকার করে নিয়েছিল শ্রমিকরাও মানুষ। তারা যন্ত্র নয়, তাদেরও বিশ্রাম ও বিনোদনের প্রয়োজন রয়েছে।  শ্রমের মর্যাদা ও শ্রমিকের অধিকার আদায়ের প্রতীক মহান মে দিবস বছর ঘুরে আবারও পালিত হচ্ছে। কিন্তু ইতিহাসের এতো দিন পরেও প্রশ্ন, সেই আত্মত্যাগের প্রতিদান কী মিলছে এই ‘আধুনিক সভ্যতায়?’
  
বাংলাদেশ সময়: ১২১৮ ঘণ্টা, মে ০১, ২০১৭
এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।