রাজধানীর শেওড়া এলাকায় ইট ভাঙার কাজ করছিলেন আব্দুর রশিদ। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ‘মে দিবস কী? আমরা গরিব মানুষ আমাদের আবার দিবস কী, সারাদিন ইট ভেঙে ৩০০, ৩৫০ টাকা পাই, তাই দিয়ে সংসার চলে।
আব্দুর রশিদ জানান, খোয়া ভাঙায় ১৫ টাকা ফিট হিসেবে মজুরি দেওয়া হয়। দিন শেষে দেখা যায় কোনো দিন ৩০০, কোনো দিন ৩৫০ টাকা আসে।
একথা বলে আবার ইট ভাঙতে শুরু করেন তিনি।
মিরপুর রোডে নির্মাণ শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন শাহনাজ বেগম। তিনি বলেন, ‘মে দিবস কী জানি না। কাজ করতে হবে এইডা জানি। কাল যদি কাজ না দেয় ট্যাহা পামু না। এই দিবস কি আমাদের ভাতা দিবো?’
আরেক শ্রমিক আনসারুল বলেন, ‘মে দিবস কী তাই জানি না। শ্রমিক দিবস আছে হেইডা জানি। ওই দিন কাজ বন্ধ থাকে। আমাদের কাজ বন্ধ থাকবে কিনা জানি না। সন্ধ্যায় কাজ শেষে জানা যাবে কী হবে। ’
কয়লা শ্রমিক রতম মিয়া জানান, ‘মে দিবস জানি না, কাজ না করলে টাকা দেয় না কেউ, এইডা জানি। যদি সোমবার কাজ বন্ধ থাকে, তাহলে একদিনের রোজগার বন্ধ। এসব দিবস আমাদের জন্য না। ’
ট্যাম্পুর হেলপার রাসেলের কাছে মে দিবসের গুরুত্ব না থাকলেও এইটুকু বোঝেন, এদিন শ্রমিকদের ছুটি। তবে রাস্তায় যেহেতু গাড়ি চলবে তাই তার ছুটি নেই বলে জানান তিনি।
রাসেল বাংলানিউজকে বলেন, ‘ছুটি কাটাইলে কাটাতে পারি, ছুটি নিলে তো আর টাকা দিবো না। তাই ছুটি নিয়ে বসে থেকে লাভ কী? ওস্তাদ যদি গাড়ি চালায় আমিও থাকমু। ’
মিরপুরে ভর্তা-ভাত হোটেলের কর্মচারী নুর ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, ‘গত বছর মে দিবসে আসি নাই, মালিক বকা দিয়েছিল। এবার হোটেল খোলা থাকলে আইতে অইবো। ’
উল্টো তার প্রশ্ন, ‘মে দিবসে কি খাওয়া বন্ধ থাকবে?
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৬ ঘণ্টা, মে ০১, ২০১৭
এসএম/আরআর/এইচএ