ঢাকা, মঙ্গলবার, ১২ ফাল্গুন ১৪৩১, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৫ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

দিবস কী?

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৪৫ ঘণ্টা, মে ১, ২০১৭
দিবস কী?

ঢাকা: দিবস কী? দিবস হচ্ছে একটি ছুটির দিন। চাকরিজীবীদের জন্য লম্বা ঘুম, কারো জন্য অতিথি আপ্যায়ন, ছোটদের জন্য স্কুল মাফ আর অনেকের জন্য সিনেমা দেখা কিংবা রেস্টুরেন্টে খাওয়া দাওয়া। আর ব্যানারের সামনে দাঁড়িয়ে কিছু মানুষের উচ্চস্বরে বক্তব্য। ব্যস এই তো?

কিন্তু আক্ষরিক অর্থে দেশে বা দেশের বাইরে বিভিন্ন ক্ষেত্র বা ঘটনাকে কেন্দ্র করে আমরা যেসব দিবস পালন করে যাচ্ছি তার আসলে কতোটার আদ্যোপান্ত আমরা জানি!

১ মে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস। বিশ্বব্যাপী উদযাপিত এই দিনটিকে মে দিবস হিসেবে অভিহিত করা হয়।

আজ থেকে আরো ১৩১ বছর আগে এই দিনে শ্রমিক সমাজ তাদের অধিকার আদায়ের জন্য আত্মত্যাগের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন।

১৮৮৬ সালের ১ মে সংঘটিত এবং পরবর্তী অমানবিক হত্যাযজ্ঞ ও প্রহসনমূলক বিচারের মধ্য দিয়ে শ্রমিক শ্রেণীর মিলল আপাত বিজয় অর্থাৎ ৮ ঘণ্টা শ্রমের অধিকার। পরবর্তীতে ১৮৮৯ সালে দ্বিতীয় মারকিস্ত ইন্টারন্যাশনালের উদ্বোধনী কংগ্রেসে প্রতি বছর মে মাসের প্রথম দিনটিকে মে ডে হিসেবে পালনের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বর্তমানে প্রায় ৮০টি দেশ সরকারিভাবে এই দিনকে ছুটির দিন হিসেবে পালন করে আসছে।

ভাবতে অবাক লাগে শ্রমিক শ্রেণি তো দূরের কথা! শিক্ষিত সচেতনতার ছায়ার নিচে বসবাসকারী অনেকের মধ্যে ও এ দিবসের মর্যাদা সম্পূর্ণ অনুপস্থিত। যদি মানুষ নিয়েই সমাজ হয় তবে এই দেশ ও সমাজকে সুন্দর ও সুশৃঙ্খল করতে সংস্কৃতি, সামাজিক দায়িত্ব ও মান উন্নয়ন খুবই জরুরি।

যদি অতীতে পূর্ব পুরুষেরা সামাজিক দায়িত্ববোধ থেকে আত্ম বিসর্জন দিয়ে যেতে পারেন। তবে আপনি আমি জীবন নাই দিলাম কিন্তু পরবর্তী প্রজন্মকেতো অন্তত জানাতে পারি কি ছিল এই সমাজের পূর্ব ইতিহাস। আর কেনই বা আমরা তাদের স্মরণ করব।

অন্যান্য দেশে যথাযথ মর্যাদায় মে দিবস পালন হলেও আমাদের দেশে এখন পর্যন্ত তা ছুটির দিনে ৠালি, ব্যানার আর মুখস্ত আওরানো বুলির মধ্যে সীমাবদ্ধ। হয়তো আমিও সেভাবে শ্রমিকদের জন্য দায়িত্ব পালন করিনি তবে ছোট ছোট কিছু কাজের মধ্য দিয়ে ভ‍ূমিকা তো রাখতেই পারি। এই যেমন ছোট্ট শিশুদের আজকের দিনটা সম্পর্কে কিছু কথা তো বলতেই পারি। পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যে অর্থাৎ সমাজ-সংস্কৃতি ও জন সাধারণের মধ্যে সৌহার্দ্য, সম্প্রীতি ও শ্রদ্ধাবোধ তৈরি করতে পূর্বের ইতিহাস জানাটা জরুরি নয় কি? হয়তো এই ভাবেই জানতে জানতে বা শেখার মধ্য দিয়ে একদিন সেও হয়তো সচেতন নাগরিক হয়ে উঠবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫২৬ ঘণ্টা, মে ০১, ২০১৭

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।