ঢাকা, মঙ্গলবার, ১২ ফাল্গুন ১৪৩১, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৫ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

হাসি মুখে নদীতে নেমেছেন ভোলার জেলেরা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২২৩ ঘণ্টা, মে ১, ২০১৭
হাসি মুখে নদীতে নেমেছেন ভোলার জেলেরা হাসি মুখে নদীতে নেমেছেন ভোলার জেলেরা

ভোলা: জাটকা রক্ষার্থে দুই মাসের নিষেধাজ্ঞার পর উৎসবমুখর পরিবেশে নদীতে নেমেছেন ভোলার জেলেরা।

ইলিশ ধরাকে কেন্দ্র করেই সরগরম হয়ে উঠেছে মাছের আড়ৎগুলো। কেনা-বেচা আর হাকডাকে মুখরিত হয়ে উঠেছে এসব আড়ৎ।

বেকার জেলেরা কর্মব্যস্ত হয়ে উঠেছেন।

ইলিশের ভরা মৌসুমে কাঙ্ক্ষিত সংখ্যক মাছ পেয়েই ঘরে ফিরবেন- এমন আশা জেলেদের। মাছ বিক্রির টাকায় দেনা পরিশোধের চিন্তাও রয়েছে কারো কারো।

এদিকে, মার্চ-এপ্রিল দুই মাস মাছ ধরা বন্ধ থাকায় নদীতে ইলিশ উৎপাদন ৪০ ভাগ বেড়েছে বলে মনে করছে মৎস্য বিভাগ। তাদের মতে, ইলিশের উৎপাদন বাড়ছে, এতে জেলেদের জালে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরা পড়তে পারে। তবে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এ মৌসুমেও ইলিশের সময়কাল পরিবর্তন হতে পারে।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম এ প্রসঙ্গে বাংলানিউজকে বলেন, আগে এ সময়টাতে ইলিশ পাওয়া যেতো, কিন্তু গেল মৌসুমে জুলাই থেকে আগস্ট পর্যন্ত বেশি সংখ্যক ইলিশ ধরা পড়েছিলো। তাই এখনই ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরা পড়বে, না কি আরো পরে ধরা পড়বে তার নিশ্চয়তা নেই।

সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ভোলা সদরের ইলিশা বিশ্বরোড, রাজাপুর, চডার মাথা ও ধনিয়া এলাকার বেশ কিছু ঘাটে গিয়ে দেখা গেছে, জেলে, মৎস্যজীবী ও আড়ৎদারদের হাকডাকে মুখর হয়ে উঠেছে মৎস্য ঘাট। কেউ বরফ তৈরি করছেন, কেউ ঝুড়ি প্রস্তুত করছেন, কেউবা গদিতে মাছ তুলে দাম হাকাচ্ছেন। সবার চোখ-মুখে হাসির ঝিলিক। তবে চাহিদা অনুযায়ী তখনো ইলিশের সরবরাহ ছিল না আড়তে, দামও অনেক বেশি বলে অভিযোগ ক্রেতাদের।
 হাসি মুখে নদীতে নেমেছেন ভোলার জেলেরা
ইলিশা বিশ্বরোড এলাকার জেলে নাছির মাঝি বলেন, দীর্ঘদিন বেকার ছিলাম। এতে অনেক টাকা দেনা হয়েছে, নিষেধাজ্ঞা উঠে গেছে তাই খুব ভোরে ট্রলার নিয়ে ইলিশ ধরতে নেমেছি, দুপুর ১২টা পর্যন্ত ১১টি ইলিশ পেয়েছি। এতে খরচ পুশবে না কি তাই চিন্তা করছি।

রাজাপুরের জেলে হসেম, সালাউদ্দিন ও জাহের বলেন, অনেক দিন পর মাছ শিকারে যাচ্ছি। মাছ বিক্রির টাকায় মহাজনের দাদন আর এনজিও থেকে নেয়া ঋণ পরিশোধ করবো।

মৎস্য আড়ৎদার মো. ইব্রাহিম বাংলানিউজকে বলেন, ভোর থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত ২০টি আড়তে তিন লাখ টাকার মাছ কেনা-বেচা হয়েছে। পার্শ্ববর্তী চড়ার মাথা ঘাটে বিক্রি হয়েছে প্রায় পাঁচ লাখ টাকার ইলিশ।

বিকেল ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত আবারো জমে উঠেছিল আড়ৎগুলো।

তিনি বলেন, পাঁচ থেকে সাড়ে ছয়শ’ গ্রামের ইলিশ প্রতি হালি দেড় হাজার থেকে ১৭শ’ টাকা, আটশ’ থেকে নয়শ’ গ্রাম ওজনের এক হালি ইলিশ তিন হাজার টাকা এবং এক কেজি বা তার চেয়ে বেশি ওজনের ইলিশ প্রতি হালি পাঁচ হাজার টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। এসব মাছ ঢাকা এবং বরিশাল চলে যাচ্ছে। এখন দাম  একটু বেশি থাকলেও বেশি মাছ ধরা পড়লে দাম কমতে পারে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২১ ঘণ্টা, মে ০১, ২০১৭
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।