ঢাকা, মঙ্গলবার, ১২ ফাল্গুন ১৪৩১, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৫ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

বাঘ আতঙ্কে কুষ্টিয়ার মিরপুরের এলাকাবাসী

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫৬ ঘণ্টা, মে ১, ২০১৭
বাঘ আতঙ্কে কুষ্টিয়ার মিরপুরের এলাকাবাসী প্রতীকী

কুষ্টিয়া: বাঘ আতঙ্কে রয়েছে কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার মালিহাদ ইউনিয়নের আবুরী গ্রামের মানুষ। এলাকায় মাঝে মধ্যেই বাঘ দেখা যায়। রাতে বাঘ আতঙ্কে থাকে সবাই। 

সোমবার (০১ মে) সকালে আবুরী গ্রামের শহিদুল্লার বাড়ির পাশ থেকে একটি চিতা বাঘকে আটক করে হত্যা করে এলাকবাসী। পরে তারা বাঘটিকে মেরে গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখে।

বাঘটির দৈর্ঘ্য চার ফুট আর প্রস্থ ১৬ ইঞ্চি।  

স্থানীয় এলাকাবাসী জুমারত আলী বাংলানিউজকে বলেন, বাঘটির কোথা থেকে কীভাবে লোকালয়ে এসেছিল তা আমরা জানি না। তবে মাঝে মধ্যেই বাঘটিকে ওই এলাকায় দেখা যেতো।

বাঘটিকে প্রথম দেখা মোমেনা খাতুন বাংলানিউজকে বলেন, আমি সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি আমার বাড়ির পাশ দিয়ে কী যেনো লাফ দিয়ে দ্রুত চলে গেলো। তারপর আমি চিৎকার শুরু করি। পরে লোকজন এসে দেখে বাঘ।  

বাঘটিকে আটককারী আব্দুস সালাম বাংলানিউজকে বলেন, মোমেনা খাতুন তার বাড়ির পাশ দিয়ে বাঘটিকে যেতে দেখে চিৎকার শুরু করে। এতে লোকজন জড়ো হলে বাঘটি পাশের পানির পাইপের মধ্যে ঢুকে যায়। সেসময় আমি একটা বস্তা নিয়ে গিয়ে কৌশলে বাঘটিকে বস্তার ভেতরে আটকে ফেলি।  

তিনি আরও বলেন, আমি আগে জানতাম না যে সেটা বাঘ। আমরা শেয়াল মনে করে বস্তা দিয়ে ধরেছিলাম।

মালিহাদ পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (এএসআই) আলামিন বাংলানিউজকে জানান, গ্রামবাসীরা যে বাঘটিকে মেরেছে সেটা চিতা বাঘ। মৃত বাঘটিকে মাটিচাপা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ওই গ্রামে বাঘ হত্যার ঘটনা এটা প্রথম না। প্রায়ই ওই এলাকায় বাঘ দেখা যায়। এই নিয়ে বাঘ আতঙ্কে রয়েছে এলাকাবাসী।  

মালিহাদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আকরাম হোসেন বাংলানিউজকে জানান, এই গ্রামে বাঘ নতুন না। প্রায় রাতেই দেখা যায়। এই নিয়ে এই এলাকা থেকে ৫টি বাঘ মারা হয়েছে।  

স্কুল ছাত্র মুন্না বলেন, আমি সকালে স্কুল যাওয়ার পথে বাঘটিকে ধরতে দেখি। তারপর থেকেই আমার মনের মধ্যে কেমন বাঘ বাঘ আতঙ্ক বিরাজ করছে।  

এদিকে, সেটাকে বাঘ না বলে জানিয়েছেন মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম।  

তিনি বাংলানিউজকে জানান, সেটা হাঁস-মুরগি খাওয়া মেছো বাঘ টাইপের কিছু হতে পারে।   

বাংলাদেশ সময়: ০০৪৩ ঘণ্টা, মে ০২, ২০১৭
এসএনএস
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।