বৃহস্পতিবার (৪ মে) বিকেলে উপজেলার মিরকুটিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে মো. আব্দুল্লাহ (১৮) নিহত ফজলুল হকের ছোট ছেলে এবং নুর মোহাম্মদ (১৬) তার নাতি।
নিহত ব্যক্তির বড় ছেলে মো. জুয়েল রানা জানান, বাড়ির সীমানা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে উপজেলার ভারড়া ইউনিয়নের নুরু মুন্সির সঙ্গে তাদের বিরোধ চলছে। বিকেলে নুরু মুন্সির ছেলে এমদাদুল ওরফে এন্দাল, ছবুর, ফজল, হাবিব ও হানিফসহ আট-১০ জনের একটি দল তাদের বাড়ির বাঁশ ঝাড়ে বাঁশ কাটতে আসেন। এসময় বাধা দিলে দুই পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে নুরু মুন্সির লোকজন দা’ দিয়ে তার বাবাকে (ফজলুল হক) কোপাতে থাকেন। এসময় আব্দুল্লাহ ও নুর মোহাম্মদ ঠেকাতে গেলে তাদেরও কোপাতে শুরু করেন তারা। পরে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে নুরু মুন্সি সঙ্গীদের নিয়ে পালিয়ে যান। আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পথে তার বাবা ফজলুল হকের মৃত্যু হয়।
টাঙ্গাইলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (মির্জাপুর সার্কেল) মুহাম্মদ শাহাদাৎ হোসেন সন্ধ্যায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
নাগরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহিরুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। হত্যাকারীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০২১ ঘণ্টা, মে ০৪, ২০১৭
এসআই