ঢাকা, মঙ্গলবার, ১২ ফাল্গুন ১৪৩১, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৫ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

রংপুর কৃষি অঞ্চলের কৃষি কর্মকর্তাদের ছুটি বাতিল

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০০ ঘণ্টা, মে ৪, ২০১৭
রংপুর কৃষি অঞ্চলের কৃষি কর্মকর্তাদের ছুটি বাতিল বোরো ধান ক্ষেত নেক ব্লাস্ট রোগে আক্রান্ত-ছবি: বাংলানিউজ

নীলফামারী: কৃষি বিভাগ রংপুর অঞ্চলের নীলফামারীসহ পাঁচটি জেলার সব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করেছে।

বোরো ধান ক্ষেতে নেক ব্লাস্ট (শীষ মরা রোগ) ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়ায় কৃষকদের পাশে থেকে সহায়তা দিতে মন্ত্রণালয় থেকে কৃষি কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেয়ার পাশাপাশি সব ছুটি বাতিল করা হয় বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

বোরো চাষিদের অভিযোগ, ধানী জমিগুলোর পাতা জ্বলে যাচ্ছে এবং শীষ পুড়ে গেছে।

কোনো শীষে ধান নেই। ফলে তারা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। কৃষি বিভাগের পরামর্শ অনুযায়ী কীটনাশক দিয়েও কাজ হচ্ছে না। শীষ মরা রোগ বিশেষ করে ব্রি-২৮, ২৯, ৫৯ ও ৬১ জাতে দেখা দিলেও এর প্রভাব সব থেকে বেশি ব্রি-২৮ জাতের ধানে। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এখন অনেক এলাকায় ধান কাটা শুরু করেছে কৃষকরা।

বৃহস্পতিবার (৪ মে) রংপুর কৃষি অঞ্চল অফিস সূত্রে জানা যায়, এবার রংপুর কৃষি অঞ্চলে পাঁচ জেলায় বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিলো পাঁচ লাখ দুই হাজার ২৮৪ হেক্টর জমিতে। অর্জিত হয় বেশি পাঁচ লাখ পাঁচ হাজার ৩৪৯ হেক্টরে। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে তিন হাজার ৬৫ হেক্টর জমিতে বেশি। এর মধ্যে নীলফামারীতে ৮২ হাজার ১১০ হেক্টরে, রংপুরে এক লাখ ৩৩ হাজার ৪০ হেক্টরে, গাইবান্ধায় এক লাখ ৯ হাজার ৬১২ হেক্টরে, কুড়িগ্রামে এক লাখ ১০ হাজার ৫০২ হেক্টরে ও লালমনিরহাটে ৫০ হাজার ৮৫০ হেক্টর জমিতে।

কৃষকরা বলছে, এবার মোট বোরো আবাদের প্রায় ৪০ ভাগই ব্রি-২৮ জাতের ধান। বোরো ধান আবাদে প্রয়োজনীয় সার কীটনাশক ব্যবহারের পর ফলন ভালোই হয়েছিল। কিন্তু হঠাৎ করে গাছ মরা রোগ দেখা দিয়েছে। এতে ধানের পাতা ও শীষ পুড়ে যাচ্ছে। ফলে শীষে ধান নেই। তাদের মতে প্রতিটি জেলায় শতকরা ৩০ থেকে ৪০ ভাগ ধান নেক ব্লাস্ট রোগে আক্রান্ত।

নীলফামারী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ পরিচালক গোলাম মো. ইদ্রিস বাংলানিউজকে জানান, এপ্রিল মাসের টানা বেশ কিছুদিন অসময়ে বৃষ্টি হওয়ায় ধান গাছে দেয়া কীটনাশক পানিতে ধুয়ে যাওয়ায় ক্ষেতগুলোতে নেক ব্লাস্ট রোগ দেখা দেয়।

তিনি আরও জানান, পরিস্থিতি মোকাবেলায় সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর ছুটি বাতিল করা হয়েছে। ধানক্ষেত রক্ষায় প্রয়োজনীয় কীটনাশকসহ পরামর্শ দেয়ার জন্য গ্রামে গ্রামে প্রচারপত্র বিলি ও মাইকিং করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ২০৫৮ ঘণ্টা, মে ০৪, ২০১৭
আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।