প্রস্তাবটি গ্রহণ করে আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেন, প্রস্তাবটি অত্যন্ত সময়োপযোগী। প্রস্তাবটি গ্রহণ করা হোক।
সংরক্ষিত মহিলা আসনের সদস্য ফজিলাতুন্নেছা বাপ্পি প্রস্তাবের পক্ষে দেওয়া বক্তব্যে বলেন, গণহত্যা ও স্বাধীনতার ইতিহাস বিকৃতকারীদের বিচারের জন্য এখনই আইন প্রণয়ন করা হোক। যারা গণহত্যাকে অস্বীকার করে, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি করে তারা স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব মানে না, তারা সংবিধান ও জাতীয় পতাকা মানে না। তাই তাদের বিচারের জন্য আইন প্রণয়ন করা হোক।
তার এই প্রস্তাবকে সসর্থন করে অবিলম্বে আইন করার দাবি জানান, নাভানা আক্তার, নুরজাহান বেগম, এম এ আউয়াল, একেএম রহমতউল্লাহ, আক্তার জাহান, সিরাজুল ইসলাম মোল্লা, শফিকুল ইসলাম শিমুল।
এরপর আইনমন্ত্রী তার বক্তব্যে বলেন, ফজিলাতুন্নেছা বাপ্পি যে বক্তব্য তুলে ধরেছেন তা ঐতিহাসিক। তার প্রস্তাব অত্যন্ত সময়োপযোগী। এই প্রস্তাব আমরা গ্রহণ করলাম। তবে আমি বলে রাখি এ সংক্রান্ত একটি আইনের খসড়া ইতোমধ্যেই তৈরি করা হয়েছে।
এই আইনের নাম দেওযা হয়েছে- বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি রোধ আইন। অতিসত্বর মন্ত্রিসভার বৈঠকে উঠবে। বর্তমান সংসদের মেয়াদকালেই আইনটি পাস হবে।
এরপর বাপ্পির সিদ্ধান্ত প্রস্তাবটি ভোটে দিলে তা সর্বসম্মতিক্রমে কণ্ঠভোটে পাস হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩০ ঘণ্টা, মে ০৪, ২০১৭
এসকে/এমজেএফ