গণসংলাপ যৌথভাবে আয়োজন করে সেইফ রোড অ্যান্ড ট্রান্সপোট অ্যালায়েন্স (স্রোতা)।
গণ-সংলাপে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. হোসেন জিল্লুর রহমান, ব্লাস্টের নির্বাহী পরিচালক ব্যারিস্টার সারা হোসেন, সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাংগঠনিক সম্পাদক মোখলেসুর রহমান, নিরাপদ সড়ক চাই-নিসচার চেয়ারপার্সন ইলিয়াস কাঞ্চন প্রমুখ।
ড. হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, সড়ক পরিবহন আইনের সার্বজনীনতা রয়েছে। পরিবহন সেক্টরকে সুরক্ষিত করতে আইনের গুরুত্ব অপরিসীম। দেশের অর্থনৈতিক বিকাশের জন্য শৃঙ্খলবদ্ধ পরিবহন সেক্টর দরকার।
তিনি বলেন, আইনের ৩৯ (১) ধারায় চালকদের গতিসীমা নিয়ন্ত্রণের কথা থাকলেও কারা মনিটরিং করবে ও কি পদক্ষেপ নেওয়া হবে তার উল্লেখ নেই। তাছাড়া ৫৬ ধারা অনুযায়ী চালকরা অপরাধ করলে তা জামিনযোগ্য বলে উল্লেখ করা হয়েছে, যা দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে সমর্থনযোগ্য নয়।
সংলাপে খসড়া আইনটির সার্বিক চিত্র তুলে ধরেন বাংলাদেশ বাস-ট্রাক মালিক সমিতির চেয়ারম্যান ফারুক তালুকদার সোহেল।
তিনি বলেন, সড়ক পরিবহন আইন -২০১৭ আইনটির কোনো উদ্দেশ্য নেই। পরিবহন সেক্টরকে ধ্বংস করতে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে আইন করা হয়েছে। অনেক জায়গায় অপরাধের তুলনায় শাস্তি বেশি দেওয়া হয়েছে।
ব্যারিস্টার সারা হোসেন বলেন, সড়ক পরিবহন আইনটিতে নারী প্রতিবন্ধী ও বয়স্ক লোকের জন্য নির্দিষ্ট আসন রাখার কথা বলা হয়েছে। এটা ভালো দিক। আবার অনেক ক্ষেত্রে আইনের পুরো ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি ; অস্পষ্ট রাখা হয়েছে। এ বিষযগুলো পরিষ্কার করে আইনটির আরো সংশোধন প্রয়োজন।
অন্য বক্তারা বলেন, পরিবহন সেক্টর প্রভাবশালী মালিকদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। অনেক সময় তারা দেশ জিম্মি করে সরকারকেও নিয়ন্ত্রণ করে। এমন পরিস্থিতি থেকে বের হওয়ার উপায় হিসেবে আইনে কোনো নির্দেশনা নেই। আইনটি তাড়াহুড়ো করে করা হয়েছে অনেকটা ফেইক আইনের মত। সংসদে পাসের আগে সড়ক পরিবহন আইনের খসড়া সংশোধনের দাবি জানান তারা।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৯ ঘণ্টা, মে ০৪, ২০১৭
এমসি/আরআই