ঢাকা, মঙ্গলবার, ১২ ফাল্গুন ১৪৩১, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৫ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

শ্বাসরোধ করে হত্যা

ঝর্ণা হত্যার পরিকল্পনাকারী জেসমিন

শেখ জাহাঙ্গীর আলম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২৪ ঘণ্টা, মে ৪, ২০১৭
ঝর্ণা হত্যার পরিকল্পনাকারী জেসমিন ঝর্ণা আক্তার

ঢাকা: পাওনা টাকা না দেওয়ার কারণেই রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানা এলাকায় ছনটেকে ঝর্ণা আক্তারকে (২৬) শ্বাসরোধ করে হত্যা করে জেসমিন। পরিকল্পিতভাবে হত্যাকাণ্ডটি ঘটাতে নিজ খালাতো ভাই মিলনকে মুন্সিগঞ্জ থেকে ডেকে আনে জেসমিন। হত্যার পর দুইজন মিলে লাশ বিছানার চাদর দিয়ে মুড়ে বস্তায় ভরে। লাশ গুম করতেই একটি রিকশা করে শনির আখড়া ব্রিজের ঢালে নিয়ে যায়। রিকশা থেকে লাশের বস্তাটি মিলন মাথায় নিয়ে রাস্তার পাশে ময়লার স্তুপে ফেলে দেয়। ওই রাতেই দুইজনই পালিয়ে মুন্সিগঞ্জের নেড় পুকুর পার এলাকায় চলে যায়।

বৃহস্পতিবার (০৪ মে) নিম্ন আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এ কথা জানায় গ্রেফতারকৃত আসামি মিলন।  

এর আগে, গত ২৭ এপ্রিল যাত্রাবাড়ী এলাকার একটি বাসায় ঝর্ণা আক্তার (২৬) নামের এক নারীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়্।

পরদিন (২৮ এপ্রিল) সকাল ৮টার দিকে যাত্রাবাড়ীর শনির আখড়া থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। উদ্ধারের পর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মিটফোর্ড হাসপাতালে পাঠানো হয়। নিহত ঝর্ণা কুমিল্লার নাঙ্গলকোট গ্রামের হাসান পাটোয়ারীর মেয়ে।

এই ঘটনায় পরদিন নিহতের ছোট ভাই নাসির উদ্দিন বাদী হয়ে যাত্রাবাড়ী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

বুধবার (০৩ মে) বিকাল ৫টার দিকে মুন্সিগঞ্জ সদরে অভিযান চালিয়ে জেসমিন ও মিলনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

জবানবন্দিতে বলা হয়, জেসমিনের পরিকল্পনা অনুযায়ী ঝর্ণাকে গলা টিপে হত্যা করি। ঝর্ণার কাছে জেসমিন দুই লাখ টাকা পেত। টাকা না দেওয়ার কারণে ঝর্ণাকে হত্যার পরিকল্পনা করে জেসমিন।

এ বিষয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ডেমরা জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) ইফতেখারুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, এই ঘটনায় দুইজন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে আসামি মিলন আদালতে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দিয়েছে। অপর আসামি জেসমিনকে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

তিনি বলেন, এই ঘটনায় আর্থিক লেনদেনের বিষয় ছাড়াও অন্য কোন কারণ আছে কি না, সেটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

নিহতের ছোট ভাই নাসির উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে ঝর্ণার সঙ্গে জেসমিনের ঝগড়া চলছিল। সেই ঝগড়ার জের ধরেই আমার বোনকে হত্যা করা হতে পারে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা যাত্রাবাড়ী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) বিল্লাল হোসেন জনি বাংলানিউজকে বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি আসামিরা শ্বাসরোধ করে ঝর্ণাকে হত্যা করেছে। কিন্তু ময়না তদন্তের প্রতিবেদন হাতে পেলে এ ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যাবে।

বাংলাদেশ সময়: ২২১৪ ঘণ্টা, মে ০৪, ২০১৭
এসজেএ/আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।