এসএসসিতে গোল্ডেন জিপিএ-৫ লাভের খবর শুনে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের তাকে ফোন করেছেন।
ফোনে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের অভিনন্দন জানান শতাব্দীকে।
গত বছর বিমানবন্দর সড়কে শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট স্কুল থেকে ফেরার পথে সড়কমন্ত্রীকে শতাব্দী প্রশ্ন ছুড়েছিল।
তার প্রশ্ন ছিলো- মেয়েদের জন্য এই সড়কে কেন পৃথক বাস নেই। আর যে বাসগুলো চলে সেগুলো মেয়েদের না নিয়ে চলে যায়।
দশম শ্রেণির ছাত্রী শতাব্দীর কণ্ঠে এমন সাহসী কথা শুনে বিস্মিত হন মন্ত্রী।
তাৎক্ষণিক মন্ত্রী তার কথামতো বাস চালু করে দেন। পরদিন সকাল থেকে এ রুটে নারী, ছাত্রী ও শিশুদের জন্য একটি বিআরটিসির স্পেশাল বাস চালু হয়। সে সময় ঘটনাটি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়।
শতাব্দীর সাহসী ভূমিকার প্রশংসা করেন খোদ মন্ত্রী থেকে শুরু করে সবাই। স্কুলে স্টার খ্যাতি পায় শতাব্দী। স্কুলের পক্ষ থেকে তাকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
জিপিএ গোল্ডেন লাভের পর শতাব্দী তার প্রতিক্রিয়ায় ভবিষ্যতে ডাক্তার হয়ে মানুষের সেবা করা ইচ্ছা প্রকাশ করে।
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা মো. আবু নাসের রাতে বাংলানিউজকে বলেন, ‘মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের শতাব্দীর সাহসী যাত্রার ধারাবাহিক সফলতা প্রত্যাশা করেন। তার সাহসী ভূমিকা ও এই সম্ভাবনা যাতে ভবিষ্যতে দেশের কল্যাণে কাজে লাগাতে পারে সেই প্রত্যাশা করেন মন্ত্রী। তথ্য কর্মর্কতা আবু নাসের টিপুর মাধ্যমেই ফোনটি দেওয়া হয় শতাব্দীকে।
এর আগে বাংলানিউজের মাধ্যমে মন্ত্রী অবগত হোন তাকে প্রশ্ন করা সেই মেয়েটি গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়েছে। মন্ত্রী তখন সংসদ অধিবেশনে ছিলেন। পরে অধিবেশন শেষে তাকে অভিনন্দন জানানোর আগ্রহ প্রকাশ করেন মন্ত্রী। এরপর দেওয়া হয় ফোন।
বাংলাদেশ সময়: ০১০৬ ঘণ্টা, মে ০৫, ২০১৭
এসএ/এমএইউ/এএটি/