শনিবার (৬ মে) সকালে উপজেলার দৈবজ্ঞহাটি ইউনিয়নের মধ্যেপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের উদ্ধার করে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নিহত সরোয়ার শেখ মোরেলগঞ্জ উপজেলার দৈবজ্ঞহাটি ইউনিয়নের মধ্যেপুর গ্রামের আশরাফ শেখের ছেলে।
আহতরা হলেন, নিহতের সেজো ভাই আব্দুর রশিদ শেখ (৫০), মেজো ভাইয়ের স্ত্রী তাহমিনা বেগম (৪৫), ছেলে বাবু শেখ (২০) ভাতিজা পলাশ শেখ (৩০) ও কাইয়ুম শেখ (২৪)।
নিহতের ভাতিজি মিমি আক্তার বলেন, শনিবার সকালে আমার সেজ চাচা আব্দুর রশিদ শেখ পাশের মিত্রডাঙ্গা গ্রামের প্রতিপক্ষ মামাতো ভাই জবান খানের কাছে পাওনা টাকা চাইতে যান। এ নিয়ে দু’জনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। টাকা না পেয়ে একপর্যায়ে চাচা বাড়ি ফিরে আসেন। এর কিছুক্ষণ পরে জবান খান ৭-৮ জন লোককে সঙ্গে নিয়ে আমাদের বাড়ির সামনে এসে প্রথমে সেজ চাচা রশিদের উপর হামলা চালায়। তাকে বাঁচাতে বাড়ির অন্যরা এগিয়ে গেলে তারা সবাইকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে চলে যান। এতে সবাই গুরুতর আহত হন। তাদের উদ্ধার করে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে নেয়ার পথে ছোট চাচা সরোয়ার শেখ মারা যান। অন্যদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পোলেরহাট পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপ পরিদর্শক (এএসআই) মো. আমিনুর ইসলাম বলেন, শনিবার সকালে পূর্ব বিরোধের জের ধরে সরোয়ার শেখের মামাতো ভাই জবান খানের লোকজন সরোয়ার ও তার পরিবারের সদস্যদের ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। এতে সরোয়ার শেখ নিহত হয়েছেন। পরিবারের অন্য সদস্যদের বাগেরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হামলাকারীদের ধরতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।
বাগেরহাট সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) মোশারেফ হোসেন বলেন, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে সরোয়ার শেখের মৃত্যু হয়েছে। আহত অন্যদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫০ ঘণ্টা, মে ০৬, ২০১৭
আরএ