শনিবার (০৬ মে) সন্ধ্যায় নির্যাতিত শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের নিয়ে জুরি ভোটের মাধ্যমে এ বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এদিকে অভিযুক্ত শিক্ষক বাবুল হোসেন ঘটনার পর থেকেই পলাতক রয়েছেন।
এ বিষয়ে শাহীন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যাক্ষ মো. আসলাম মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, জুরি ভোটের মাধ্যমে এবং তদন্ত সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বাবুল হোসেনকে চূড়ান্তভাবে প্রতিষ্ঠান থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
এর আগে ০৫ মে (শুক্রবার) বেলা সাড়ে ৩টার দিকে নবম শ্রেণির কয়েক শিক্ষার্থীর সেঙ্গে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বাকবিতন্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ বিষয়টি নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা প্রতিষ্ঠানের আবাসিক ভবনের পরিচালক বাবুল হোসেনের কাছে অভিযোগ করে। অভিযোগের ভিত্তিতে তিনি দশম শ্রেণির ১০ থেকে ১২ জন শিক্ষার্থীকে ভবনের একটি কক্ষে ডেকে নিয়ে কক্ষে আটকিয়ে মধ্যযুগীয় কায়দায় লাঠি দিয়ে মারধর করে।
বগুড়া জেলার তালোরা এলাকার সামাদ মিয়ার ছেলে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী রিজভী প্রতিবাদ করায় ভবনের পরিচালক ক্ষিপ্ত হয়ে লোহার রড আগুনে গরম করে রিজভীর শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছ্যাঁকা দেয়। এ সময় রিজভী জ্ঞান হারিয়ে ফেললে অন্যান্য শিক্ষার্থীরা রিজভীসহ আহত পাঁচ শিক্ষার্থীকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।
বাংলাদেশ সময়: ২২১৮ ঘণ্টা, মে ০৬, ২০১৭
জিপি
** ৫ শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে হাসপাতালে পাঠালো শিক্ষক