জেলা প্রশাসকের নির্দেশে ওই বাড়ি ও তার আশপাশের ২০০ গজের মধ্যে ১৪৪ ধারা জারি করেছে মহেশপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আশাফুর রহমান।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সাধারণ জনগণের জান-মাল রক্ষার্থে রোববার (০৭ মে) সকাল ১০টার দিকে জারি করা এ ১৪৪ ধারা পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বহাল থাকবে।
এদিকে, এ অভিযানে এরই মধ্যে ‘আত্মঘাতী’ হামলায় দুই জঙ্গি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন ঝিনাইদহ পুলিশ সুপার (এসপি) মিজানুর রহমান।
শনিবার রাত থেকে জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে হঠাৎপাড়ার জহুরুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তির বাড়ি ঘিরে রাখে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। পরে সকাল থেকে সেখানে অভিযান শুরু করে সিসিটিসি ইউনিট।
এসপি মিজানুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, এ ঘটনায় সিসিটিসি’র এডিসি এস এম নাজমুল ইসলাম, উপ পরিদর্শক (এসআই) মহসিন আলী এবং মজিবুর রহমান আহত হয়েছেন। এর মধ্যে মহসিন ও মজিবুর গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাদের প্রথমে কোটচাঁদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে যশোরে পাঠানো হয়েছে।
এ ঘটনায় ওই বাড়ির মালিক জহুরুল ইসলাম, তার ছেলে জসিম উদ্দিন, ভাড়াটিয়া আলমগীর হোসেনসহ চারজনকে আটক করেছে পুলিশ।
অপরদিকে, ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ১৮ মাইল লেবুতলা গ্রামে শরাফত হোসেনের বাড়ি ঘিরে রেখেছে পুলিশ।
১৫ দিনের ব্যবধানে (২২ এপ্রিল) ঝিনাইদহ সদর উপজেলার পোড়াহাটি গ্রামের ঠনঠনেপাড়ায় জঙ্গি আস্তানায় অভিযান চালায় পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ইউনিটের সদস্যরা। অভিযানের নাম ছিল ‘অপারেশন সাউথ প’ বা দক্ষিণের থাবা। ওই জঙ্গি আস্তানা থেকে বিস্ফোরক তৈরির রাসায়নিক ভর্তি ২০টি ড্রাম, একটি সেভেন পয়েন্ট সিক্স বোরের পিস্তল, একটি ম্যাগজিন, সাত রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। পাঁচটি বোমা নিষ্ক্রিয় করা হয়। বাড়ির ভেতর থেকে ১৫টি জিহাদি বইও উদ্ধার করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১০১৪ ঘণ্টা, মে ০৭, ২০১৭
এসএইচ/এসআই