আটকদের একজন প্রধান আসামি আব্দুর রফিক। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে শাহজাহান মন্ডল নামে আরও এক আসামিকে আটক করা হয়।
শনিবার (০৬ মে) রাতে রৌমারী উপজেলার শৌলমারী ইউনিয়নের বাজার থেকে তাদের আটক করা হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জহির উদ্দিন বাংলানিউজকে জানান, ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে আসামি আব্দুর বফিকের অবস্থান নিশ্চিত করে তার মোবাইলে বিকাশে টাকা পাঠানো হয়। সেই টাকা তোলার নাম করে রৌমারী থানা পুলিশ তাকে আটক করে। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ওই হত্যাকাণ্ডে সহযোগী হিসেবে শাহজাহান নামে আরও একজনকে আটক করা হয়। এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আরও একজন জড়িত রয়েছেন।
রাজীবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পৃথীশ কুমার জানান, এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনে পুলিশ খুবই তৎপর ছিলো, যার ফলে তিন দিনের মধ্যেই আসামিদের গ্রেফতার সম্ভব হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক দু’জনই হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।
গত বুধবার (০৩ মে) রাতে নিজ ঘরে হত্যাকাণ্ডের শিকার হন মা ও মেয়ে। পরে বুধবার (০৪ মে) রাজীবপুর থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্টে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে সাংবাদিকদের জানিয়েছিল।
হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আব্দুর রফিকই জড়িত রয়েছেন, এমন অভিযোগে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহত নাজমা খাতুনের ভাই রফিকুল ইসলাম।
বাংলাদেশ সময়: ১০২৮ ঘণ্টা, মে ০৭, ২০১৭
ওএইচ/এসএনএস