ঢাকা, বুধবার, ১৩ ফাল্গুন ১৪৩১, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৬ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

নারী দেহরক্ষী নিয়ে শুল্ক গোয়েন্দায় প্রিন্স মুসা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৩৪ ঘণ্টা, মে ৭, ২০১৭
নারী দেহরক্ষী নিয়ে শুল্ক গোয়েন্দায় প্রিন্স মুসা ‘কথিত’ ধনকুবের প্রিন্স মুসা বিন শমসের- ছবি- জি এম মুজিবুর

ঢাকা: শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরে নারী দেহরক্ষী নিয়ে সশরীরে বক্তব্য দেওয়ার জন্য হাজির হয়েছেন ‘কথিত’ ধনকুবের প্রিন্স মুসা বিন শমসের।

রোববার (০৭ মে) দুপুর ২টা ৫৫ মিনিটের দিকে রাজধানীর কাকরাইলে অবস্থিত শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরে হাজির হন মুসা। এছাড়া তাকে নিরাপত্তা দিতে রয়েছেন তার নিয়োগকৃত দেহরক্ষীরা।

 

এর আগে  গত ২০ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তরে হাজির হওয়ার কথা থাকলেও হাজির না হয়ে অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে তিন মাসের সময় চেয়ে আবেদন করেন। এ সময় এক চিঠিতে মুসা জানান, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত তিনি। এমনকি তার বাকশক্তিও লোপ পেয়েছে। এজন্য সশরীরে উপস্থিত হয়ে বক্তব্য দেওয়ার জন্য তিন মাসের সময় চাওয়া হয়েছে।

আবেদনের সঙ্গে তিনি স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক কাজী দ্বীন মোহাম্মদ ও প্রফেসর এমএ আজহারের কাছ থেকে নেওয়া শারীরিক অসুস্থতার সনদও যুক্ত করেন।

পরবর্তীতে শুল্ক ফাঁকি ও অর্থপাচারের বিষয়ে জবানবন্দি দিতে ২২ এপ্রিল (শনিবার) ‘কথিত’ ধনকুবের প্রিন্স মুসা বিন শমসেরকে দুই সপ্তাহ সময় দেয় শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর। এর আগে অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে তিন মাসের সময় চাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে দুই সপ্তাহের সময় দেওয়া হয়েছে বলে তখন বাংলানিউজকে জানান শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মইনুল খান।  

জালিয়াতির মাধ্যমে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে আনা গাড়ি রেঞ্জ রোভার ব্যবহার করায় প্রিন্স মুসা বিন শমসেরকে ২৩ মার্চ (বৃহস্পতিবার)  তলব করে শুল্ক গোয়েন্দা অধিদফতর। ২০ এপ্রিল বিকেল ৩টায় শুল্ক গোয়েন্দা সদর দফতরে তাকে হাজির হতে বলা হয়। একই সঙ্গে ভোলা বিআরটিএতে নিবন্ধন ভোলা ঘ ১১-০০৩৫ গাড়ি গ্রহণকারী ফারুকুজ্জামান চৌধুরীকেও তলব করা হয়।

উক্ত ঘটনার অনুসন্ধান ও তদন্তের স্বার্থে দফতরের উপ-পরিচালক এইচ এম শরিফুল হাসান ও রাজস্ব কর্মকর্তা ইয়াকুব জাহিদের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি রোববার মুসা ও ফারুকুজ্জামানকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে বলে জানা গেছে।
‘কথিত’ ধনকুবের প্রিন্স মুসা বিন শমসের- ছবি- জি এম মুজিবুর
এছাড়া গত ২১ মার্চ (মঙ্গলবার) শুল্ক গোয়েন্দার একটি ১৫ সদস্যের অভিযানিক দল অবৈধভাবে ব্যবহৃত মুসা বিন শমসেরের ব্যবহৃত রেঞ্জ রোভার গাড়িটি জব্দ করে। এছাড়াও রেজিস্ট্রেশনে গাড়িটির রং সাদা উল্লেখ থাকলেও উদ্ধারকৃত গাড়িটি ছিলো কালো রংয়ের। এ গাড়িটি মুসা অবৈধভাবে ব্যবহার করছিলেন। যার বাজার মূল্য প্রায় ৫ কোটি টাকা। মুসার অবৈধভাবে ব্যবহার করা গাড়িটিতে সরকারের ২ কোটি ৪৮ লাখ টাকা শুল্ক ফাঁকি দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৫ ঘণ্টা, মে ০৭,২০১৭
এসজে/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।