হাসপাতালের রেজিস্টার খাতায় ওই ব্যক্তির নাম লেখা রয়েছে এবাদত এবং ঠিকানা কালিকাপুর, ঈশ্বরদী।
তবে স্থানীয়রা জানান, নিহত ব্যক্তির নাম ইয়াদব জাদব, তার বাবার রাম বিলাস ইয়াদব।
এ ব্যাপারে সন্দেহ হওয়ায় ঈশ্বরদী কালিকাপুর ইউনিয়নের নোয়াখালি মহল্লার নাসিমা আকতার ও সাইফুল্লাহ নামে দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ। সম্পর্কে তারা বাবা-মেয়ে।
পুলিশের ধারণা, সাইফুল্লাহ নামে ঈশ্বরদীর ওই ব্যক্তি ভুল নাম-ঠিকানা লিখিয়ে ভারতীয় ওই নাগরিককে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
প্রত্যক্ষদর্শী হাসপাতাল ব্যবস্থা কমিটির সদস্য এ কে এম হাসান হীরা বলেন, ‘শনিবার রাতে আমি হাসপাতালে তখন উপস্থিত ছিলাম। সেসময় এক নারী এবং ৫ জন যুবক ওই রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। তার মুখে গন্ধ এবং লালা বের হচ্ছিল। চিকিৎসক রোগীকে দেখার পরে তাকে রাজশাহী মেডিকেলে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। কিন্তু যারা তাকে নিয়ে এসেছিলেন তারা তাকে এই হাসপাতালে ভর্তি করে চলে যান। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এ বিষয়ে পাবনা জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. মঞ্জুরা রহমান বলেন, ‘শনিবার রাতে ঈশ্বরদী হাসপাতাল থেকে এক রোগীকে এনে আমাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, তখন যে চিকিৎসক দায়িত্বরত ছিলেন তিনি রোগীটি দেখে ধারণা করেন ওই রোগী বিষপান করেছেন। বিষক্রিয়ার ফলে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। আমরা ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ মর্গে পাঠিয়ে দিয়েছি এবং বিষয়টি পুলিশকে জানিয়েছি। যেহেতু আমরা জানতে পেরেছি মৃত ব্যক্তি ভারতীয় নাগরিক, তাই পরবর্তী পদক্ষেপ প্রশাসন নেবে। আমাদের এখানে মরদেহ রাখার ব্যবস্থা নাই তাই মরদেহ ঢাকায় পাঠিয়ে দিতে হবে’।
এ বিষয়ে পাবনা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গৌতম কুমার বিশ্বাস বলেন, রোববার সকালে আমরা বিষয়টি জানতে পারি। ঈশ্বরদী থানা পুলিশকে বিষয়টি তদন্তের জন্য বলা হয়েছে। কি কারণে তার মৃত্যু হয়েছে তা এখনো আমরা নিশ্চিত নই। ময়নাতদন্ত হলে বিষয়টি জানা যাবে।
নিহত ইয়াদব জাদব লাল পাবনা ঈশ্বরদীর রশিদ ওয়েল মিলে ইনচার্জ হিসেবে কর্মরত ছিলেন। গত বছরের শেষ দিকে তিনি চাকরিচ্যুত হন।
এদিকে স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ঈশ্বরদীর কালিকাপুরের নোয়াখালি পাড়ার সাইফুল্লার মেয়ে নাছিমার সঙ্গে ইয়াদবের সম্পর্ক ছিল। তিনি সেখানে নিয়মিত যাতায়াত করতেন। স্থানীয়দের ধারণা টাকা পয়সার জের ধরেই বিষপানের মাধ্যমে তাকে হত্যা করা হতে পারে। তবে বিষয়টি তদন্ত চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৮ ঘণ্টা, মে ০৭, ২০১৭
আরএ