এ আইনের নতুন ধারায় ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট স্পষ্ট করা হবে বলেও জানান তিনি।
মন্ত্রী বলেন, এ আইনের মাধ্যমে যাতে কাউকে অন্যায়ভাবে হয়রানি না করা হয়, সে ব্যবস্থা থাকবে।
রোববার (৭ মে) দুপুরে হবিগঞ্জে নবনির্মিত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবন উদ্বোধন উপলক্ষে হবিগঞ্জ জেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, যে দেশের সংবিধানে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশের মতো কালো আইন ছিল, সে দেশে কী ২১ বছর আইনের শাসন ছিল? বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত দেশে আইনের শাসন ছিল না।
শেখ হাসিনা ছাড়া কেউ এই ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাতিলের কথা বলেননি। ১৯৯৬ সালে তিনিই এই আইন বাতিল করেন। বাংলাদেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা একমাত্র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই করেছেন। তার প্রচেষ্টার পথ ধরেই ২০০৭ সালের পহেলা নভেম্বর নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগ আলাদা হয়েছে।
বিচার বিভাগ হচ্ছে সহায় সম্বলহীন মানুষের শেষ আশ্রয়স্থল। আমরা বিচার বিভাগের স্বাধীনতার ব্যাপারে কোনো আপস করতে চাই না। গণতন্ত্রের বিকাশে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিয়ে কোনো আপস নয়, এর সম্মান ক্ষুণ্ন নয়, বরং এর মর্যাদা বৃদ্ধি করতে কাজ করছে সরকার। গণতন্ত্র ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতা অক্ষুণ্ন রাখতে বর্তমান সরকার বদ্ধ পরিকর বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়া হত্যার বিচার সব আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করা হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন মন্ত্রী।
আইনমন্ত্রী এসময় বলেন, শুধু অবকাঠামোগত উন্নয়ন নয়, বিচারকদের মর্যাদা, পদোন্নতি, সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির মধ্য দিয়েই দেশে আইনের শাসনের পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন সম্ভব। হবিগঞ্জে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ভবন নির্মাণের মধ্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর আরো একটি প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়িত হলো।
জেলা ও দায়রা জজ মো. আতাবুল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন-এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. আবু জাহির, অ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ খান এমপি, অ্যাডভোকেট মাহবুব আলী এমপি, সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি অ্যাডভোকেট আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী, আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু সালেহ শেখ মোহাম্মদ জহিরুল হক, জেলা প্রশাসক সাবিনা আলম, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. সোলায়মান এবং জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি মো. আফিল উদ্দিন।
হবিগঞ্জ গণপূর্ত বিভাগ ২১ কোটি টাকা ব্যয়ে পাঁচতলা এ ভবনটি নির্মাণ করেছে। এতে বিচার প্রার্থী, বিচারক ও আইনজীবীদের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পূরণ হলো।
নবনির্মিত ভবনে বিচার প্রার্থী, আইনজীবী ও বিচারকদের জন্য অত্যাধুনিক বিভিণ্ন সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০০ ঘণ্টা, মে ০৭, ২০১৭
এসআই