রোববার (৭ মে) সন্ধ্যায় দশম জাতীয় সংসদের ১৫তম অধিবেশনে আওয়ামী লীগের সদস্য নজরুল ইসলাম বাবুর কার্যপ্রণালী-বিধির ৭১ বিধি অনুসারে উত্থাপিত নোটিশের জবাবে মন্ত্রী একথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ঢাকার চারপাশ নদী ঘেরা।
তিনি বলেন, মূলত ট্যানারির বর্জ্য ও শিল্প-কলকারখানার বর্জ্যের কারণে নদীগুলো দূষিত হয়েছে। ট্যানারির বর্জ্যে ৩০ শতাংশ দূষণ হচ্ছে, ৬০ শতাংশ হচ্ছে শিল্পবর্জ্যে। এই বর্জ্যে রোধ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। হাজারীবাগ থেকে ট্যানারি সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এখনও পুরোপুরি স্থানান্তর হয়নি। ট্যানারি পুরোপুরি চলে গেলে ৩০ শতাংশ দূষণ কমে যাবে।
মন্ত্রী আরও বলেন, নদীগুলোর দূষণ রোধে জনপ্রশাসনের মুখ্য সচিবকে কনভেনার করে একটি টেকনিক্যাল কমিটি গঠন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে তারা একটি পরিকল্পনা তৈরি করছে কি করে নদীগুলো দূষণমুক্ত করা যায়। আশাকরছি কমিটি এক মাসের মধ্যে রিপোর্ট দেবে। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতেই আমরা পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণ করবো।
এসময় মন্ত্রী অন্য দেশের নদী দূষণ রোধের উদাহরণ টেনে বলেন, পৃথিবীর বহু দেশ আমাদের চেয়ে বেশি সময় নিয়ে নদী দূষণমুক্ত করেছে। লন্ডনের টেম্পস নদী দূষণমুক্ত করতে কেউ বলে ৭৫, কেউ বলে ৬৫ বছর প্রয়োজন হয়েছে। আমাদের অতো বছরের প্রয়োজন হবে না। আমরা উজান থেকে পানি আনার জন্য আমাদের নদী খননের ব্যবস্থা করছি। পানি আনতে পারলে নদী দূষণ কমে যাবে। এরজন্য রিভার ক্লিনার ভেসেল সংগ্রহের উদ্যোগ নিয়েছি। এই ভেসেল এসে গেলে দ্রুততার সঙ্গে দূষণ মুক্ত করা যাবে।
আরও পড়ুন:
***কমছে না জ্বালানি তেলের দাম
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৬ ঘণ্টা, মে ০৭, ২০১৭
এসকে/এসএম/এএ