ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ ফাল্গুন ১৪৩১, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৭ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

১৫ মে থেকে বাজারে মিলবে মেহেরপুরের সুস্বাদু আম

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১০৭ ঘণ্টা, মে ৯, ২০১৭
১৫ মে থেকে বাজারে মিলবে মেহেরপুরের সুস্বাদু আম মেহেরপুরের বাগানে আম/ছবি: বাংলানিউজ

মেহেরপুর: প্রতিবছরের মতো এবারও সরকারিভাবে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নির্ধারণ করা হয়েছে আম ভাঙার তারিখ। মধুমাস জৈষ্ঠ্যের শুরুর দিন থেকেই বাজারে মিলবে মেহেরপুরের সুস্বাদু আম। মান ঠিক রেখে কেমিক্যাল মুক্ত আম বাজারজাতকরণে সরকারি পদক্ষেপের অংশ হিসেবে এ তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।

তবে আম যদি এর আগেই পরিপক্ব হয় এবং কৃষি কর্মকর্তারা দেখে যদি মনে করেন ভাঙার উপযোগী হয়েছে, তাহলে এর আগেও ভাঙা (আম পাড়াকে ভাঙা বলেন চাষিরা) যাবে।

জেলা প্রশাসনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এবার গোপালভোগ আম ১৫ মে, হিমসাগর আম ২০ মে, ল্যাংড়া ৩০ মে, ফজলি ১৫ মে, আম্রপালি জুনের শেষ সপ্তাহ, মল্লিকা ও বিশ্বনাথ জাতের আম জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহ থেকে বাজারজাত করতে পারবেন আমচাষি ও ব্যবসায়ীরা।

বাংলানিউজকে এমনটি জানাচ্ছিলেন জেলা প্রশাসক পরিমল সিংহ। তিনি বলেন, নির্ধারিত সময়ের দু’একদিন আগে যদি কোনো বাগানে আম পেকে যায় তবে সংশ্লিষ্ট কৃষি কর্মকর্তাকে আম ব্যবসায়ীরা জানাবেন। কৃষি কর্মকর্তারা ওই বাগান
পরিদর্শন করে যদি দেখেন আম পরিপক্ব হয়েছে তাহলে তাদের মতামতের ভিত্তিতে ওই বাগানের আম বাজারজাত করা যাবে।
 মেহেরপুরের বাগানে আম/ছবি: বাংলানিউজ
মেহেরপুর জেলায় এবার ১৫ থেকে ২০ হাজার আমচাষি ২২শ হেক্টর জমিতে আম চাষ করেছেন। যেখান ৩৩ হাজার মেট্রিকটন আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর। রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জের মতো স্বাদের জন্য বেশ খ্যাতি রয়েছে মেহেরপুরের আমের। এ অঞ্চলের মাটি আমের জন্য বিশেষ উপযোগী। জেলায় উৎপাদিত আমের মধ্যে রয়েছে হিমসাগর, ল্যাংড়া, বোম্বাই, ফজলি, আম্রপালিসহ বিভিন্ন জাতের আম। তবে ৭০ শতাংশ জমিতে চাষ হয়েছে হিমসাগর আমের। কারণ এখানকার হিমসাগরের রয়েছে বিশেষ খ্যাতি।

মেহেরপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক এস এম মোস্তাফিজুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, মেহেরপুরের ভৌগলিক আবহাওয়া বিবেচনা করে গোপালভোগ আম ১৫ মে, হিমসাগর আম ২০ মে, ল্যাংড়া আম ৩০ মে থেকে বাজারজাত করা হলে সঠিক ওজন ও স্বাদ বজায় থাকবে।

আম ব্যবসায়ী ও চাষিদের এ নির্দেশনা মেনে চলার আহ্বান জানান তিনি।

জেলা সিভিল সার্জন ডা. জিকেএম শামসুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, আমে ক্ষতিকর রাসায়নিক ব্যবহার রোধ এবং বালাইনাশকের নিরাপদ ও কার্যকর ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। রাসায়নিক দ্রব্য দিয়ে পাকানো আম খেলে কিডনি সমস্যা, শ্বাসতন্ত্র ও দেহের বিভিন্ন স্থানে চর্মরোগ দেখা দিতে পারে। তাই জনগণের মধ্যে সচেতনা সৃষ্টি করে এগুলো নিশ্চিত করতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০০ ঘণ্টা, মে ০৯, ২০১৭
এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।