সোমবার (১৫ মে) রাত সাড়ে ৮টার দিকে বাঘারপাড়ার পেমচারা গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
বাঘারপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মতিয়ার রহমান বাংলানিউজকে এ তথ্য জানান।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে বাঘারপাড়া উপজেলার প্রেমচারা গ্রামের আমজাদ রাজাকার নিজ বাড়িতে রাজাকার ক্যাম্প স্থাপন করেছিলেন। ওই ক্যাম্পের সদস্যরা বহু মানুষকে নির্যাতন, খুন, গুমসহ নানাবিধ অত্যাচার করে।
১৯৭১ সালের ১৫ আগস্ট আমজাদ রাজাকারের নেতৃত্বে ১০-১২ জন একত্রিত হয়ে পাশ্ববর্তী মাগুরার শালিখা উপজেলার সীমাখালি গ্রামের রজব আলীকে বাড়ি থেকে ধরে বাঘারপাড়ার চাঁদপুর গ্রামে নিয়ে আসে এবং ওই গ্রামের একটি আমবাগানে গামছা দিয়ে চোখ ও দড়ি দিয়ে হাত বেঁধে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে জবাই করে।
এ ঘটনায় নিহতের ছেলে খোকন বিশ্বাস বাদী হয়ে মাগুরার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শালিখা আমলী আদালতে মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে গত ৬ এপ্রিল আদালতের বিচারক শম্পা বসু মামলাটি গ্রহণপূর্বক তা ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে’ পাঠানোর নির্দেশনা দেন। এরপর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল মামলাটি গ্রহণ করে।
এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন- বাঘারপাড়ার প্রেমচারা গ্রামের কেরামত মোল্লা, ওহাব এবং ফসিয়ার মোল্লা।
ওই ঘটনা ছাড়াও আমজাদ রাজাকারের বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালের ১৮ আগস্ট বাঘারপাড়ার উত্তর চাঁদপুর গ্রামের মৃত শফিউদ্দীন বিশ্বাসের দুই ছেলে ময়েন উদ্দিন এবং আয়েন উদ্দিনকে হত্যার অভিযোগ রয়েছে।
কুখ্যাত এ রাজাকারের গ্রেফতারের সংবাদে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন নির্যাতিত পরিবারগুলোর সদস্যরা।
স্থানীয়রা জানান, স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে যখন যে দল ক্ষমতায় এসেছে, আমজাদ সেই দলের নেতা হয়েছেন। সর্বশেষ জাতীয় পার্টি ছেড়ে ২০০০ সালে ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি হয়েছিলেন। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতার ছত্রছায়ায় থাকছিলেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ২১২১ ঘণ্টা, মে ১৫, ২০১৭/আপডেট ০৪৩৭ ঘণ্টা
ইউজি/এএসআর/এইচএ/