সৈয়দপুর-রংপুর মহাসড়ক, নীলফামারী-জলঢাকা, কিশোরগঞ্জ-জলঢাকা, ডিমলা-নীলফামারী সদর, সৈয়দপুর উপজেলা সড়ক ও প্রত্যন্ত অঞ্চলের গ্রামীণ পাকা সড়ক চাতালে পরিণত হয়েছে।
সৈয়দপুর উপজেলার কামারপুকুরের কৃষক আব্দুস সাত্তার বাংলানিউজকে জানান, তিন বিঘা জমিতে তিনি বোরো আবাদ করেন।
ডোমার উপজেলার গোমনাতি ইউনিয়নের কৃষক ফজলে মামুদ বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের এখানে দেরিতে বোরো ধান কাটা- মাড়াই শুরু হয়েছে। মেঘলা আকাশে ধান শুকানোর সমস্যা হওয়ায় বর্তমানে রোদের তীব্রতায় বোড়াগাড়ি-গোমনাতি পাকা সড়কে শুকাতে এনেছি। পাকা সড়কে ধান শুকালে মানুষের চলাচলে অসুবিধা হয় জেনেও কাজটি করতে হচ্ছে বলে দুঃখ প্রকাশ করেন তিনি।
জলঢাকা গোলমুন্ডা ইউনিয়নের এক ভূট্টা চাষি বাড়িতে ভূট্টা মাড়াই করে গ্রামের পাকা সড়কে শুকাতে দিয়েছেন। এতে দ্রুত কাজটি শেষ করতে পাবরেন বলে জানান তিনি।
নীলফামারী জেলা বাস-মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আখতার হোসেন বাদল বাংলানিউজকে বলেন, পাকা সড়কে কাটা-মাড়াই ও শুকানোর কারণে যানবাহন চলাচলে মারাত্মক অসুবিধার সৃষ্টি হচ্ছে। বিষয়টি লিখিতভাবে নীলফামারী জেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।
সার্কেলের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার জিয়াউর রহমান বাংলানিউজকে জানান, গ্রামীণ পাকা সড়কে ধান মাড়াই ও খড় শুকানোর কারণে মানুষের অসুবিধা হওয়ায় সকর্তকা জারি করা হয়েছে। পাকা সড়কে এ ধরনের কাজ থেকে বিরত থাকার জন্য মৌখিকভাবে বলা হয়েছে। এরপর মাইকিং করা হবে তাতেও কাজ না হলে পরে পুলিশ অ্যাকশনে যাবে বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৪ ঘণ্টা, মে ২০, ২০১৭
এনটি/আরএ