সিলেট: রাতে পোহালেই শুরু পবিত্র মাহে রমজান। শনিবার (১ মার্চ) তারাবির নামাজের পর মাঝ রাতে সেহরি খাওয়ার মধ্য দিয়ে শুরু হবে রোজা।
সিলেটে তারাবির নামাজের ঘোষণা আসতেই গরুর মাংসের বাজারে টান লেগেছে। শনিবার নগরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বাজারে মাংস কিনতে ক্রেতাদের ভিড় দেখা গেছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, অনেক গরু জবাই হয়েছে। কিন্তু ক্রেতাদের চাহিদা মতো জোগান তারা দিতে পারছেন না।
অভিযোগ আছে, রোজার মাসে গরুর মাংস, মোরগসহ নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে দেন বিক্রেতারা। যেহেতু প্রথম রোজা; শুরুতে গরুর মাংসে ঝোঁক বেশি থাকে। তাই দাম নির্ধারণ করে দেয় সিলেট সিটি করপোরেশন। এবারো গরুর মাংসের কেজি ৭৫০ টাকা নির্ধারণ হয়েছে। কিন্তু বিক্রেতারা সেই নিয়ম না মেনে ৭৮০ টাকা করে গরুর মাংসের কেজি বিক্রি করছে।
নগরের সুবিদবাজারে পাবেল মিট শপে দাম বাড়িয়ে মাংস বিক্রির অভিযোগ ওঠে। বিষয়টি নিয়ে দোকানের স্বত্বাধিকারী সুফিয়ান আহমদ পাবেলকে প্রশ্ন করলে তিনি জানান, দাম নির্ধারণের তালিকা এখনো তারা পাননি। আর গরুও বেশি দামে কিনতে হয়েছে তার। যে কারণে বেশি দামে বিক্রি করছেন।
এ বিষয়ে সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জাহিদুর রহমান বলেন, সিসিক থেকে ৭৫০ টাকা গরুর মাংসের কেজি নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রত্যেক দোকানিকে মূল্য তালিকা ঝুলিয়ে রাখতে হবে। নয়তো, অভিযানে জরিমানার মুখোমুখি হতে হবে।
সরেজমিনে সিলেট নগরের বিভিন্ন বাজার ও পাড়া মহল্লা ঘুরে দেখা যায়, বিক্রেতারা গরু জবাই করে মাংস বিক্রি করছেন। অনেকেই দীর্ঘ লাইন ধরে মাংস মাংস কিনছেন। নগরের বিভিন্ন মহল্লায় যৌথভাবে অনেকেই গরুর মাংস কিনছেন।
সেলিম মিয়া নামের এক মাংস বিক্রেতা বলেন, রোজায় ইফতার ও সেহরিতে গরুর মাংসের চাহিদা বেশি থাকে। এবার তিনি ৭৫০ টাকা কেজি ধরে গরুর মাংস বিক্রি করছেন।
সিসিক সূত্র জানায়, ২০২৩ সালে সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী মাংসের কেজি ৬০০ থেকে বাড়িয়ে ৬৫০ টাকা নির্ধারণ করে দেন। এরপর এক বছরের ব্যবধানে আরও ১০০ টাকা বাড়িয়ে ৭৫০ টাকা মাংসের কেজি নির্ধারণ করা হয়েছে।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, রমজান ঘিরে সব পণ্যের দাম বেড়ে গেছে। লাল মোরগ সাড়ে ৬০০ টাকা, দুদিন আগেও ছিল ৫৯০ থেকে ৬০০ টাকা। পোল্ট্রি মুরগি ২২০ টাকা কেজি, সোনালী মোরগ মাঝারি পিস ৩৮০ টাকা এবং ছোট পিস ২৭০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। আগে এ দুটি মোরগ ৩৫০ ও ২৩০ টাকা বিক্রি হয়েছে। এছাড়া ২০ টাকার আলু এখন ২৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে। একইভাবে সব পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
এ নিয়ে ক্রেতারাও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। মিরের ময়দান এলাকার আব্দুল কাদির, সুবিদবাজার এলাকার জাকির হোসেন বলেন, রমজান এলেই নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে দেন ব্যবসায়ীরা। কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা এই সুযোগ কাজে লাগান।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৭ ঘণ্টা, মার্চ ১, ২০২৫
এনইউ/এমজে