শনিবার (২০ মে) জেলায় তাপমাত্রা ছিলো ৩৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ তাপমাত্রা আরো বেশ কিছুদিন অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
এদিকে, হঠাৎ গরমের কারণে ডায়রিয়া ছড়িয়ে পড়েছে। এতে ভোলা সদর হাসপাতালসহ জেলার ৬টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কমপক্ষে অর্ধশতাধিক রোগী ভর্তি হলেও গ্রামগঞ্জের বাসা বাড়িতে আরো দুই শাতাধিক ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী রয়েছে।
হাসপাতালগুলোতে ডায়রিয়া ওয়ার্ডে শয্যার অভাবে অনেক রোগীকে মেঝেতে চিকিৎসা নিতে দেখা গেছে। সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ওয়ার্ডে রোগীদের চাপ বাড়ছে বলেও নার্স ও চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
ভোলা আবহাওয়া অফিসের অবজারভার আল-আমিন বাংলানিউজকে জানান, মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে তাপমাত্রা বাড়ছে, আগামী এক সপ্তাহে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। তবে তাপমাত্রা আরো বাড়তে পারে।
শহরের বিচ্ছিন্ন ও দ্বীপচর সমূহে গরমের তাপমাত্রা আরো বেশি বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। গরমের কারণে ফসলের খেত ফেটে চৌচির হয়ে যাচ্ছে। গরমে শ্রমিকরা মাঠে কাজ করতে পারছেন না। টানা খরার কারণে চাষাবাদ ব্যাহত হচ্ছে।
এ ব্যাপারে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক প্রসান্ত কুমার সাহা বাংলানিউজকে বলেন, বর্তমানে যে খরা বা তাপদাহ রয়েছে তাতে ফসলের তেমন ক্ষতি হবে না। তবে এটা অব্যাহত থাকলে বোরো ও ভূট্টার ক্ষতি হতে পারে।
এদিকে, টানা খরার কারণে পুকুর, ডোবা, খাল ও বিলের পানির স্তর নিচে নেমে গেছে। এতে দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানির সংকট।
ভোলার সিভিল সার্জন ডা. রথীন্দ্রনাথ মজুমদার বাংলানিউজকে বলেন, ডায়রিয়ার কারণে রোগীর চাপ বাড়লেও হাসপাতালে প্রচুর স্যালাইন ও ওষুধ মজুদ রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৭ ঘণ্টা, মে ২০, ২০১৭
আরবি/আরএ