ফলে সরকারিভাবে বরাদ্দকৃত অতি প্রয়োজনীয় বই পাঠকদের কাছে প্রদর্শন করা যাচ্ছে না। এসব বই গাদাগাদি করে রাখা হয়েছে স্টোররুমে।
এখানে মঞ্জুরিকৃত ৫টি পদের মধ্যে নেই জুনিয়র লাইব্রেরিয়ান। ফলে কাজের সমস্যা হচ্ছে।
সরেজমিনে জানা গেছে, ৩৩ শতাংশ জমিতে নির্মিত গণগ্রন্থাগার ভবনের আয়তন ৫ হাজার ৭৭২ বর্গফুট। এখানে পাঠকক্ষ রয়েছে মাত্র দু’টি। ফলে ২৫ হাজার ৫৫৬টি বইয়ের অর্ধেকেরও বেশি রুম ও র্যাকের সংকটে স্টোররুমে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রাখা হয়েছে। সারাদিন রুমটি তালাবদ্ধ থাকলেও রাতে নৈশপ্রহরী থাকেন।
লাইব্রেরিটির ৩টি কম্পিউটারের মধ্যে ১টি নষ্ট হয়ে পড়ে রয়েছে। কম্পিউটারে ইন্টারনেট সংযোগ না থাকায় বঞ্চিত হচ্ছেন পাঠকরা।
লাইব্রেরিয়ান মো. সাইফুল ইসলাম জানান, লাইব্রেরিতে পর্যাপ্ত বই আছে। কিন্ত রুম ও র্যাকের অভাবে সেসব বই পাঠকদের সামনে তুলে ধরা যাচ্ছে না। তিনি বলেন, সর্বস্তরের জনসাধারণের পাঠাভ্যাস বৃদ্ধি ও গ্রন্থাগারের প্রতি আকৃষ্ট করতে জাতীয় দিবসে রচনা, হাতের সুন্দর লেখা ও বই পাঠ প্রতিযোগিতা, গ্রন্থ প্রদর্শনী, ওয়ার্কশপ ও সেমিনারের আয়োজন এবং বেসরকারি গণগ্রন্থাগারগুলোকে তালিকভূক্ত ও নিবন্ধন করা হয়।
পাঠকদের চাহিদা কি তা স্থানীয় কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে জেনে কেন্দ্রীয়ভাবে গণগ্রন্থাগারে বই সরবরাহ করা হয়।
বন্ধের দিন ছাড়া লাইব্রেরিটি প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত খোলা থাকে। এখানে সব ধরনের পাঠকরাই আসেন।
পৌর পার্ক ও শহীদ মিনারের পেছনে গণগ্রন্থাগার থাকায় সংস্কৃতিমন্ত্রী ও নীলফামারী-২ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূর কোনো অনুষ্ঠানে এলেই গণগ্রন্থাগারে ঢু মারেন। তিনি দ্রুত রুম ও বইয়ের র্যাকের সমস্যা সমাধানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বলে জানান লাইব্রেরি সহকারী জাহাঙ্গীর আলম।
লাইব্রেরিতে নিয়মিত আসা পাঠক জয়দেব কুমার (৩৮), আমিনুল ইসলাম (৪৫) ও শেফালি বেগম (৪২) বলেন, প্রয়োজনীয় বই বরাদ্দের পাশাপাশি পাঠকদের সমস্যাগুলোতে কর্তৃপক্ষের নজর দেওয়া উচিত। বিশেষ করে বর্তমান ডিজিটাল যুগে কম্পিউটারে ইন্টারনেট সংযোগ দিয়ে পাঠকদের ব্যবহারের পরামর্শ দেন তারা।
বাংলাদেশ সময়: ০৯১৭ ঘণ্টা, মে ২১, ২০১৭
এএসআর