শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. মইনুল খান বাংলানিউজকে বলেন, ‘হোটেল রেইন-ট্রি থেকে জব্দ করা ১০ বোতল মদ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরে পাঠানো হয়। সোমবার (২২ মে) মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের চিফ কেমিস্ট ড. দুলাল চন্দ্র সাহা স্বাক্ষরিত রিপোর্টটি হাতে পেয়েছে শুল্ক গোয়েন্দা।
‘টেস্টের মাধ্যমেও প্রমাণিত হয়েছে, মদগুলো বিদেশ থেকে আমদানি করা হয়েছে’।
মইনুল খান আরও বলেন, ‘রেইন-ট্রি হোটেলটির বিদেশি মদ আমদানির বৈধ কাগজপত্র নেই। এছাড়া হোটেলটির বৈধ বার লাইসেন্সও নেই। এরপরও তারা অবৈধভাবে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে প্রতিনিয়ত বিদেশি মদ বিক্রি করে চলেছে’।
‘হোটেলটির বৈধ বার লাইসেন্স না থাকায় তাদের এ মদ বিক্রির কোনো সুযোগ নেই। এতে হোটেলের বিরুদ্ধে শুল্ক আইন, মানিলন্ডারিং ও মাদক- এ তিন আইনে মামলা দায়ের করা হবে’।
গত ১৪ মে বনানীর রেইন-ট্রি হোটেলে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের যুগ্ম পরিচালক শফিউর রহমানের নেতৃত্বে গোয়েন্দারা অভিযান চালিয়ে একটি কক্ষ থেকে ১০ বোতল বিদেশি মদ জব্দ করেন। আগেরদিন ১৩ মে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর রেইন-ট্রি হোটেলে অভিযান চালায়। তবে গুলশান জোনের পরিদর্শক ওবায়দুল কবিরের নেতৃত্বে দলটি কোনো কিছু পাননি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪০ ঘণ্টা, মে ২২, ২০১৭
এসজে/আরআইএস/এএসআর