সোমবার (২২ মে) দুপুরে নরসিংদীর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ শাহীন উদ্দিন এ দণ্ডাদেশ দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- পলাশ উপজেলার গালিমপুর এলাকার আব্দুল গাফফার, মো. তোতা মিয়া, মো. আলেক মিয়া, শরীফ মিয়া, আরিফ মিয়া, মোছা. রুপবান ও মারফত আলী।
পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- আব্দুল গাফফার, শরীফ মিয়া, আরিফ, ফারুক মিয়া ও বাছির মিয়া।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এমএএন অলিউল্লাহ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০৯ সালের ৩০ আগস্ট রাতে দণ্ডপ্রাপ্তরা জমি সক্রান্ত বিরোধের জের ধরে সামসুল হকের ছেলে জহিরুল ইসলামকে মারধর করে। পরে কৃষক সামসুল হক সেখানে গেলে তাকে ও তার ছেলেকে কুপিয়ে জখম করা হয়। এর কিছুক্ষণ পর সামসুল ঘটনাস্থলেই মারা যান।
এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী নুরজান বেগম বাদী হয়ে পলাশ থানায় ২২ জনকে আসামি করে একটি হত্যা ও জখমের মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত ১৩ আসামিকে মুক্তি দেন।
বাকি সাত আসামিকে মৃত্যুদণ্ড ও প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড ও পাঁচ জনকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
বাংরাদেশ সময়: ১৯২০ ঘণ্টা, মে ২২, ২০১৭
এনটি/আরআই