ফুটপাতের দোকানদার খোরশেদ অালম ও বিল্লাল হোসেন জানায়, প্রতিদিন তাদের একেকটি দোকান থেকে ১০-১৫ টি ফ্যান বিক্রি হয়ে থাকে। এই প্রচণ্ড তাপদাহ আরোও বেশ কয়েক দিন থাকলে, তাদের বেচা-বিক্রি বেড়ে যাবে।
তারা আরো জানায়, তাদের কাছে ৩ ধরনের টেবিল ফ্যান আছে। যার দাম সাড়ে ৫'শ টাকা থেকে ৯'শ টাকা পর্যন্ত।
ঢামেকের বার্ণ ইউনিটসহ বেশ কয়েকটি ওয়ার্ড ঘুরে দেখা যায়, কারো মাথার পাশে, কারো পায়ের কাছে ফ্যান রেখে বাতাস দেয়া হচ্ছে রোগীদের।
বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঢামেক বার্ণের ৪ তলায় ভর্তি রোগী কাজলের মা রোকেয়া বেগম জানান, একেতো ভাই প্রচণ্ড গরম, আবার রোগীরও প্রচুর চাপ।
মাথার উপরে সে সিলিং ফ্যানগুলো আছে তা শুধু ঘোরেই, বাতাস লাগে না। তাই বাইরে থেকে আমরা টেবিল ফ্যান কিনে এনেছি। আর এতে কিছুটা হলেও রোগীরা শান্তি পাচ্ছে।
নিউরো সার্জারি বিভাগে ভর্তি সোহেলের ছোট ভাই হায়দার জানান, কয়েক দিন আগে সড়ক দুর্ঘটনায় সোহেল আহত হয়। এরপর থেকেই তাকে ঢামেকে ভর্তি রাখা হয়েছে। এখানকার সিলিংফ্যান গুলোর বেহাল অবস্থা। ময়লায় এর পাখাগুলো ভারী হয়ে গেছে। আমরাও বাইরে থেকে টেবিল ফ্যান কিনে এনে এই গরমের মধ্যে একটু শান্তি পাওয়ার চেষ্টা করছি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৫ ঘণ্টা, মে ২২, ২০১৭
আরআই