পেট মোটা বিষাক্ত এ মাছ জোয়ার-ভাটার টানে এসে আটকা পড়ছে সৈকতসহ পটুয়াখালী উপকূলের বালুতটে। প্রচণ্ড তাপদাহে পচে-গলে এসব মাছ দুর্গন্ধময় করে তুলছে চারপাশের পরিবেশ।

এ মাছের দুর্গন্ধে সৈকতে আসা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। তবে কীভাবে কি কারণে ঠিক মাছগুলো মারা পড়ছে তা বলতে পারছে না কেউ। স্থানীয় ব্যবসায়ী মিলন বাংলানিউজকে জানান, কুয়াকাটার জিরো পয়েন্ট সংলগ্ন সৈকত থেকে পূর্বদিকে ঝাউবন ও গঙ্গামতী এবং কাউয়ার চর এলাকায় অসংখ্য মরা পটকা মাছ সৈকতে আটকে রয়েছে। গত শনিবার থেকে এ মাছ বেশি দেখা যাচ্ছে।
কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর থেকে সৈকতে ভেসে আসা বিষাক্ত মরা পটকা মাছ দেখার, পরিষ্কার করারও কেউ নেই। কলাপাড়ার সিনিয়র মত্স্য কর্মকর্তা মো. কামরুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, বাংলাদেশে ২০ থেকে ২৫ প্রজাতির মধ্যে টেট্রাওডোন কুটকুটিয়ার উপকূলীয় অঞ্চলে আধিক্য বেশি। পটকা (বেলুন) মাছের দেহ প্রায় গোলাকার, মাথা চওড়া, দেহখণ্ড ও চওড়া তবে লেজের ঠিক আগে হঠাৎ সরু হয়ে গেছে। উপরিতল থেকে সামান্য নিচে মুখ, উভয় মাড়িতে দু’টি ছেদন দন্ত রয়েছে। এ চারটি দাঁতের কারণেই এর বৈজ্ঞানিক নামে টেট্রাওডোন শব্দটি জুড়ে দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, এ মাছের ভেতরে টেট্রোডোটোক্সিন (Tetrodotoxin) মৃত্যুবিষ বিদ্যমান, যা সায়ানায়েডের চেয়ে কয়েকগুণ শক্তিশালী। এ বিষ রান্না করলে কার্যকারিতা বা তেজ বাড়ে। এ কারণে সামান্য বিষ থেকে বহু মানুষ অসুস্থ ও মারা যেতে পারে।
কুয়াকাটা পৌরসভার মেয়র আব্দুল বারেক মোল্লা বাংলানিউজকে বলেন, সৈকতে মৃত পটকা মাছের বিষয়ে জানার পর সৈকতের সুন্দর পরিবেশ ও পরিচ্ছন্নতার জন্য মাটিচাপা দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৩ ঘণ্টা, মে ২৩, ২০১৭
এমএস/এএটি/এএ