বুধবার (২৪ মে) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট অশোক কুমার দত্তের আদালত এ পরোয়ানা জারি করেন।
এমপিওভুক্ত করে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ওই স্কুলের ইংরেজি শিক্ষক মোর্শেদা বেগমের কাছ থেকে এক লাখ ৩৫ হাজার টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে এ মামলা দায়ের করা হয়।
নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক সোহেল আলম বাংলানিউজকে বলেন, ঘুষ গ্রহণের মামলায় শুনানি শেষে শ্যামল কান্তি ভক্তের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) হারুনুর রশিদ গত ১৭ এপ্রিল শ্যামল কান্তি ভক্তকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী এসএম সিদ্দিকুর রহমান জানান, মামলাটিতে (১১২/১৬) শিক্ষক মোর্শেদা বেগম অভিযোগ করেন, তাকে এমপিওভুক্ত করে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্ত দুই দফায় এক লাখ ৩৫ হাজার টাকা ঘুষ নিয়েছিলেন। কিন্তু তাকে এমপিওভুক্ত করতে তিনি কোনো সহায়তা করেননি।
গত বছরের ১৪ জুলাই ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত, শিক্ষার্থী রিফাতকে মারধর ও শিক্ষককে এমপিওভুক্ত করে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে পৃথক তিনজন বাদী নারায়ণগঞ্জ আদালতে তিনটি মামলার আবেদন করেন। আদালত ওই দিন বিকেলে শুনানি শেষে প্রথম দু’টি মামলা খারিজ করে দেন। বিদ্যালয়ের ইংরেজি শিক্ষক মোর্শেদা বেগমকে প্রলোভন দেখিয়ে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগের বিষয়ে বন্দর থানা পুলিশকে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৮ ঘণ্টা, মে ২৪, ২০১৭
জিপি/এসএইচ/এএসআর