বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) বিকেলে তাদের গ্রেফতার করা হয়। বর্তমানে তাদের পুঠিয়া থানায় রাখা হয়েছে।
এছাড়া ধর্ষণের শিকার ওই শিশুটিকে সন্ধ্যায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়েছে।
গ্রেফতাররা হলেন- পুঠিয়া উপজেলার শিলমাড়িয়া গ্রামের খবির উদ্দিন (৪০) ও ওহাব আলী (২৬)। তারা পৃথকভাবে দুই দিনে ওই শিশুটিকে ধর্ষণ করে।
রাজশাহীর পুঠিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সায়েদুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, উপজেলার ভাল্লুকগাছী ইউনিয়নের ধোকড়াকুল গ্রামের খবির উদ্দিন দীর্ঘদিন ধরে শিলমাড়িয়া ইউনিয়নের খোকসা গ্রামে ভাড়া বাড়িতে থাকেন। খবির উদ্দিন ও তার দ্বিতীয় স্ত্রীর খাদিজা বেগমের সঙ্গে একই বাড়িতে থাকতো সৎশিশুটি।
এরই মধ্যে গত ২৭ আগস্ট খোকসা গ্রামের মৃত লোকমান আলীর ছেলে ওহাব আলী শিশুটিকে বাড়িতে একা পেয়ে ধর্ষণ করে। এতে অসুস্থ হয়ে পড়ে মেয়েটি। এ ঘটনার পর বিষয়টি ধামাচাপা দিতে পারিবারিকভাবে মীমাংসার চেষ্টাও চলে। কিন্তু শিশুটির অবস্থা ক্রমেই অবনতি হলে গ্রামের স্থানীয়দের মধ্যে বিষয়টি জানাজানি হয়ে যায়। তার আগে সৎ বাবার কাছে ধর্ষণের শিকার হয় ওই শিশু মেয়েটি।
নির্যাতিত শিশুটিকে রামেক হাসপাতালের ওসিসিতে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে দুজনের বিরুদ্ধেই ধর্ষণের বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে।
শুক্রবার (০১ সেপ্টেম্বর) সকালে আদালতের মাধ্যমে তাদের জেলহাজতে পাঠানো হবে। এ ঘটনায় শিশুটির মা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন বলেও জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।
এদিকে, শিলমাড়িয়া ইউনিয় পরিষদ চেয়ারম্যান সাজ্জাদ হোসেন মুকুল জানান, বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে বৃহস্পতিবার দুপুর তিনটার দিকে লোকজন নিয়ে শিশুটির খোঁজ-খবর নিতে যান। এসময় শিশুটি হাউ-মাউ করে কেঁদে উঠে জানায় যে, প্রায় এক মাস আগে শিশুটির মা বাড়ির বাইরে থাকা অবস্থায় তার সৎ বাবা খবির উদ্দিনও তাকে একা পেয়ে ধর্ষণ করে।
এরপর বিষয়টি কাউকে জানালে তাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয় খবির। ভয়ে শিশুটি কাউকে কিছু জানায়নি। এ ঘটনার পরে গত ২৭ আগস্ট সকালে শিশুটির মা ও সৎ বাবা কাজের সুবাদে বাড়ির বাইরে থাকায় বাড়িতে একা পেয়ে ওহাব আলী নামের ওই যুবক শিশুকে দ্বিতীয়বার ধর্ষণ করে।
সাজ্জাদ হোসেন আরও বলেন, মেয়েটির কাছে ধর্ষণের এমন লোমহর্ষক ঘটনা শোনার পরে পুঠিয়া থানায় খবর দেন। এরপর থানা পুলিশ গিয়ে দুই ধর্ষককেই গ্রেফতার করে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৫ ঘণ্টা, আগস্ট ৩১, ২০১৭
এসএস/ওএইচ/