কঠোর নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে দিয়ে সকালে কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে আজ লাখো মানুষের ঢল নামে। মুসল্লিরা কাতারবন্দি হয়ে ঈদুল আজহার দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ আদায় করেন।
রাজশাহীর বিশাল ঈদ জামাতে ইমামতি করেন, মহানগরীর ঐতিহ্যবাহী জামিয়া ইসলামীয়া শাহ্ মখদুম (রহ:) মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মওলানা মুফতি মোহাম্মদ শাহাদাত আলী। সহকারী ইমাম ছিলেন হেতমখাঁ বড় মসজিদের ইমাম মুফতি মওলানা ইয়াকুব আলী। বয়ান করেন জামিয়া ইসলামীয়া মাদ্রাসার শিক্ষক মওলানা নাজমুল হক। তাকে সহায়তা করেন মুফতি কারী রেজাউল করিম। একই সময় ঈদের দ্বিতীয় প্রধান ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয় মহানগর ঈদগাহ (টিকাপাড়া) ময়দানে। তৃতীয় জামাতও অনুষ্ঠিত হয় সকাল ৮টায় মহানগরীর সাহেব বাজার বড় রাস্তায়।
এখানে রাজশাহী সদর আসনের সংসদ সদস্য এবং ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা, রাজশাহী সিটি মেয়র মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, রাজশাহী জেলা প্রশাসক হেলাল মাহমুদ শরীফ, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনুসহ বিভিন্ন সরকারী দফতরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা-কর্মচারী, রাজনৈতিক নেতারাসহ সাধারণ মুসল্লিরা ঈদের নামাজ আদায় করেন।
ঈদের প্রধান জামাতে দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে দেশ ও জাতি ও বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর সুখ-শান্তি, অগ্রগতি ও কল্যাণ কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এ সময় দেশ ও জাতির স্বার্থে সন্ত্রাস এবং জঙ্গিবাদ পরিহারের আহ্বান জানানো হয়। সাম্য ও অসাম্প্রদায়ীক সম্প্রীতির ডাক দেওয়া হয়।
এছাড়া একই সময় মহানগরের ১শ’ ১০টি ঈদগাহসহ আশপাশের শতাধিক ঈদগাহে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। ঈদের নামাজ শেষে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা মহান আল্লাহর দরবারে প্রয়াত বাবা-মা ও স্বজনদের রুহের মাগফেরাত কামনার জন্য বিভিন্ন গোরস্থানে যান এবং কবর জিয়ারত করেন।
ঈদের নামাজের পর মহানগরের মোড়ে মোড়ে ধর্মপ্রাণ মানুষ কোলাকুলির মাধ্যমে ঈদের শুভেচ্ছা ও কুশল বিনিময় করেন। পরে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় সাধ্যমত পশু কোরবানি দেন।
ঈদের জামাত আদায়কালে কেন্দ্রীয় ঈদগাসহ মহানগর জুড়ে র্যাব ও পুলিশ নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলে। এছাড়া আনন্দঘন ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ঈদুল আজহা উদযাপনে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির যাতে কোনো বিঘ্ন না ঘটে সে ব্যাপারে বিশেষ নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে রাজশাহী মহানগর পুলিশ।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৩২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০২, ২০১৭
এসএস/এএটি/