ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে হযরত শাহ্ মখদুম (রহঃ) কেন্দ্রীয় ঈদগাহে সকাল ৮টায়। এখানে রাজনৈতিক দলের নেতা, সরকারি-বেসরকারি উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা ও সাধারণ মানুষ এক কাতারে শরিক হয়ে ঈদের দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ আদায় করেন।
ঈদের নামাজের পর মহানগরের মোড়ে মোড়ে ধর্মপ্রাণ মুসল্লি কোলাকুলির মাধ্যমে ঈদের শুভেচ্ছা ও কুশল বিনিময় করেন। এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন পশু কোরবানি নিয়ে।
এদিকে, ঈদুল আজহা উপলক্ষে রাজশাহী জেলা প্রশাসন ও সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। সকাল থেকেই সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে নগর ভবন, তালাইমারী কিউবিক চত্ত্বর, ভদ্রা স্মৃতি অম্লান, সিএনবির মোড় বিমান চত্ত্বর সুসজ্জিত করা হয়েছে।
ঈদের আগের দিন থেকে রাতে এ সড়কগুলোতে আলোকসজ্জা শোভা পাচ্ছে। এছাড়া বিভিন্ন প্রধান সড়ক ও দ্বীপসমূহে জাতীয় পতাকা ছাড়াও ‘ঈদ মোবারক’ এবং ‘লা ইলাহা ইল্লেললাহ্’ খচিত রঙবেরঙয়ের পতাকা দিয়ে সাজানো হয়। হাসপাতাল, জেলখানা, শিশু সদন, শিশু নিবাস, সেফ হোম, ছোট মণি নিবাস, শিশু কেন্দ্র, শিশু পল্লি ও এতিমখানাগুলোতে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হচ্ছে।
ঈদের জামাত আদায়কালে মহানগর জুড়ে র্যাব-পুলিশ নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলে।
রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র সিনিয়র সহকারী কমিশনার (সদর) ইফতে খায়ের আলম বাংলানিউজকে বলেন, আনন্দঘন ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ঈদুল আজহা উদযাপনে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির যাতে কোনো বিঘ্ন না ঘটে সে ব্যাপারে বিশেষ নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
কোথাও কোনো অপরিচিত বা সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে দেখা গেলে নিকটস্থ থানা বা পুলিশ ফাঁড়িকে জানানোর জন্য নগরবাসীর প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে। এছাড়া পাড়া-মহল্লায় কোরবানির পশুর চামড়া কেনা-বেচা নিয়ে যেনো কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রয়েছে।
তবে শান্তি, সৌহার্দপূর্ণ ও আনন্দঘন পরিবেশেই ঈদ উদযাপিত হচ্ছে। সকাল ১০টা পর্যন্ত কোথাও থেকে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা খবর পাওয়া যায়নি বলেও জানান পুলিশের এই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ১১২৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০২, ২০১৭
এসএস/জিপি