ঢাকা, রবিবার, ২১ আশ্বিন ১৪৩১, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০২ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

চড়েছে কোরবানির সংগৃহীত মাংসের দামও

শরীফ সুমন, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩০১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২, ২০১৭
চড়েছে কোরবানির সংগৃহীত মাংসের দামও চড়েছে কোরবানির সংগৃহীত মাংসের দামও/ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

রাজশাহী: দুপুর গড়িয়ে বিকেল হতেই শনিবার (০২ সেপ্টেম্বর) রাজশাহীতে জমজমাট হয়ে উঠেছে কোরবানির সংগৃহীত মাংসের বাজার। তবে দাম বেজায় চড়া। কিন্তু কোরবানি দেননি বা খাবরের হোটেল আছে এমন ক্রেতারা বেশি দাম দিয়েই মাংস কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।

সন্ধ্যা নামার পরও নগরীজুড়ে থাকবে অস্থায়ী এ মাংসের বাজার। নগরীর বিভিন্ন স্থান থেকে ভিক্ষুক ও গরিব দুঃস্থ মানুষ বাড়ি-বাড়ি গিয়ে সংগ্রহ করেছেন এ কোরবানির মাংস।

পরে এক সঙ্গে জমিয়ে তুলেছেন কুরবানির মাংসের ভ্রাম্যমাণ বাজারে। নগরীর শিরোইল রেলস্টেশন, বাস টার্মিনাল, সাগরপাড়া, বিন্দুর মোড়, দড়িখড়বোনা, লক্ষ্মীপুর, শালাবাগান মোড়সহ নগরীর বেশ কিছু মোড়ে বসেছে কোরবানির সংগৃহীত মাংসের বাজার। এসব মাংসের ক্রেতাও বেশি।

প্রতি বছরের ন্যায় এবারও সব থেকে বড় সংগৃহীত মাংসের বাজার বসেছে রাজশাহী শিরোইল রেলস্টেশন, বিন্দুর মোড় আর নগর ভবনের সামনে। সেখানে মাংস সংগ্রহকারী বিক্রেতাদের কাছ থেকে কম দামে মাংস কিনে নিয়ে পসরা সাজিয়ে বসেছিলেন এক শ্রেণির পাইকারি বিক্রেতারা। এরা সংগ্রহকারীদের কাছ থেকে কম দামে মাংস কিনে চড়া দামে বিক্রি করেছেন সাধারণ ক্রেতাদের কাছে।

দেখা গেছে পাইকারি বিক্রেতারা গরুর মাংস পৌনে ৩শ’ থেকে ৩শ’ টাকা কেজি দরে এবং খাসির মাংস সাড়ে ৩শ’ থেকে ৪শ’ টাকা কেজি দরে কিনেছে। আর বিক্রি করছে গরুর মাংস ৪শ’ ২০ থেকে সাড়ে  ৪শ' টাকায়। আর খাসির মাংস বিক্রি করেছে সাড়ে ৪শ’ থেকে ৫শ’ টাকা কেজি দরে।

শিরোইল কলোনি এলাকার মাংস ক্রেতা আইনুদ্দিন বলেন, বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত তিনি প্রায় ৩০ থেকে ৪০ কেজি মাংস কেনাবেচা করেছেন। এতে তিনি লাভ করেছেন প্রায় দেড় হাজার টাকা।

জয়নাল হোসেন নামের আরেক বিক্রেতা বলেন, তিনি এ পর্যন্ত ২৫ থেকে ৩০ কেজি মাংস বিক্রি করেছেন। এতে তার লাভ হয়েছে প্রায় এক হাজার টাকা। তবে সন্ধ্যার পর ক্রেতাদের ভিড় আরও বাড়বে। কারণ রাতে অনেকেই মাংস কিনতে আসবেন। তখন লাভের পরিমাণও বাড়বে বলে জানান জয়নাল।

মাংস ক্রেতা আফাজ উদ্দিন জানালেন, অর্থাভাবে এবার কুরবানি দিতে পারেননি। তাই এ মাংস দিয়ে ঈদ উদযাপন করবেন। কিন্তু দাম বেশি হওয়া মাত্রা তিন কেজি কিনতে পেরেছেন। গতবার এ মাংস সাড়ে ৩শ’ থেকে ৪শ’ টাকা কেজি ছিলো। এবার দাম বেশি নিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন এ ক্রেতা।

এদিকে, শফিকুল হক নামে এক হোটেল ব্যবসায়ী বলেন, প্রতিবছর কোরবানির ঈদে তিনি তার হোটেলের জন্য সংগৃহীত মাংস বাজার থেকে কম দামে কিনে রেফ্রিজারেটরে রাখেন। এ মাংস দিয়ে তার দুই থেকে তিনমাস চলে যায়। এতে লাভও বেশি, হোটেলের ক্রেতারাও পছন্দ করে বলে জানান তিনি।

তবে গতবারের চেয়ে এবার দাম বেশি। সন্ধ্যার পর যদি দাম একটু কমে তবে বেশি করে কোরবানির মাংস কিনবেন বলেও জানান এ খাবার হোটেল ব্যবসায়ী।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০২, ২০১৭
এসএস/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।